আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। বার্তা সংস্থা এএফপি ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বলেছে আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) এ ভূমিকম্প হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ তথ্য অনুযায়ী এ ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। সিয়াঞ্জুর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের রাজধানী শহর জাকার্তাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে উঁচু ভবনগুলো থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১ মিনিট কম্পন স্থায়ী হয়েছিল।
এই সময়ের মধ্যেই অনেক অফিস ও আবাসিক ভবন থেকে অনেক মানুষ বেরিয়ে আসেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং ‘আফটার শক’ হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, অনেক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিয়াঞ্জুর হাসপাতালের কর্মকর্তা হারমান সুহারম্যান স্থানীয় মেট্রো টিভিকে বলেছেন, হাসপাতালে অন্তত ৩০০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ মানুষ ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছিলেন। তাদের হাড়গোড় ভেঙে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা এখনো কাজ করছেন। আটকে পড়াদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
একজন আইনজীবী জাকার্তায় এএফপিকে বলেছেন, আমি অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বুঝতে পারি, আমার পায়ের তলে মেঝে কাঁপছে। কিছুক্ষণের মধ্যে কম্পন তীব্র হয়। কিছু সময় কম্পন স্থায়ী ছিলি।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে বলেছে, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে ২৫ জন নিহত ও ৪৬০ জন আহত হয়েছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিম সুলাওয়েসি প্রদেশেও ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পে শতাধিক নিহত হয়েছিলেন এবং ৬ হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছিলেন।
Discussion about this post