আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে সৌদি আরবেও। উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে সৌদিতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানি বেশি। রোজ হাজার হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন।
রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে এখন আর বেড সংকুলান হচ্ছে না। তাই মক্কার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কুদাই নামক স্থানে ১০০ শয্যার একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে যাচ্ছে সরকার।
মক্কার স্বাস্থ্য বিষয়ক অধিদফতরের প্রধান ওয়ায়েল বিন হামজা সম্প্রতি ওই স্থান পরিদর্শন করেছেন। বলেছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা শতভাগ নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা কার্যক্রম চালু আছে। এই হাসপাতাল তারই ধারাবাহিকতার অংশবিশেষ। এতে ভেন্টিলেটরসহ চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম ও লোকবল থাকবে। প্রয়োজনে আমরা এ রকম আরও হাসপাতাল তৈরি করব।
করোনার প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে লকডাউনের পরও আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে সৌদিতে। এর মধ্যে পবিত্র মক্কা, মদিনা, রিয়াদ ও জেদ্দার মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
করোনার প্রাণহানি ও আক্রান্তদের পরিসংস্থান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সৌদিতে ১ হাজার ৩৫১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন মোট ৫জন। সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬২ জনের। সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩ হাজার ১৬৩ জন।
জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির প্রশাসন। বৈধ-অবৈধ সব নাগরিকের জন্য করোনার চিকিৎসা সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
করোনাভাইরাস এরইমধ্যে বিশ্বের ২১০ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।প্রাণহানি ২ লাখ ৩৪ হাজার অতিক্রম করেছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লাখ ৮ হাজারের বেশি।
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় করোনায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ১০৫ জন । এছাড়া, ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে ৩৩ লাখ ৮ হাজার ২৮৩ জনের শরীরে। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৭৬৪ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫০ হাজার ৯৪৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
আর আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ মানুষ ৩৯ হাজার ১৫৮ জন।
Discussion about this post