আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভালো অবস্থানে ছিল ইউরোপের দেশ জার্মানি। তবে দেশটির লকডাউন শিথিলের সাথে সাথেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গেল ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৮ জন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার কমাতে আবারো লকডাউন জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজনীতিবিদরা।
এ বিষয়ে চ্যাঞ্চেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলছেন, সংক্রমণের সংখ্যা কমানোর জন্য আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। যদি সংক্রমণ সেভাবে বাড়তে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমাদের সব নিয়ম মেনে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে জীবনযাপন করতে হবে। স্কুল ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ৬ মে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মার্কেল।
গেল সোমবার লকডাউন শিথিল করা হয়েছে জার্মানিতে। তবে এর পরেই হচ্ছে হিতে বিপরীত। গেল পাঁচদিনে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার জার্মানি চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল ঘোষণা দিয়েছেন যে, দেশটি যাদুঘর, চিড়িয়াখানাগুলো শিগরিই চালু করা হবে, ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলো তাদের পরিষেবা আবার শুরু করতে পারবে। তবে রেঁস্তোরাগুলো কিছু সময় নিয়ে খোলা হবে। এরই মধ্যে বেশি কিছু দোকান ও স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এতসবকিছুর পরেও পরিস্থিতি উল্টো খারাপের দিকে যাচ্ছে। নতুন করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গেল ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ১৯৩ জন। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৮১।
এদিকে লকডাউনের কারণে বিশাল অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছে জার্মানি। মার্চের শেষের দিকে দেশটিতে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ যা এপ্রিলের শেষে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ। তবে এর আগে স্পেন ও ইতালির সাথে তুলনায় করোনা মোকাবেলায় জার্মান সরকারের পরীক্ষা পদ্ধতি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। তবে লকডাউনের খোলার সাথে সাথেই ঘটছে বিপরীত ঘটনা।
Discussion about this post