খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০
শতাব্দীর এর
আগে
বিদ্যুৎ সমন্ধে
মানুষের ধারণা
ছিল
না
বললেই
চলে।
তার
পরেই
ইংল্যান্ডের রানী
এলিজাবেথের গৃহচিকিৎসক ড.
ইউলিয়াম গিলবার্ট ইলেকট্রিসিটি উদ্ভাবন করেন।
বিশ্বের আধুনিকায়নের ও
ব্যবহার কার্য
দক্ষতার সহিত
সম্পন্ন করার
একমাত্র পন্থা
বিদ্যুৎ। সকল
আধুনিক
যন্ত্র
পরিচালনার জন্য
বিদ্যুৎ অপরিসীম। বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার
জন্য
একমাত্র পন্থা
হল
বিদ্যুৎকে স্বয়ংসম্পূর্ন করা।
বিশ্বের উন্নত
দেশগুলোর সাথে
তাল
মিলিয়ে
বাংলাদেশকে এগিয়ে
নিতে
কারিগরি শিক্ষার বিকল্প
নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হিসাব
করলে
দেখা
যায়
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা
সবচেয়ে
বেশি
যেটি
আমরা
প্রকাশিত চাকুরীর বিভিন্ন সার্কুলার গুলো
লক্ষ্য
করলেই
দেখতে
পাই।
কর্মক্ষেত্র:
একমাত্র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণের সকল ক্ষেত্রে পেশার সুযোগ রয়েছে।সেগুলো হলো:- পাওয়ার প্ল্যান্ট, পিডিবি,পল্লী বিদ্যুৎ,পিজিসিবি,ওজোপাডিকোলি,গ্রীড সাবস্টেশন,ডেসকো, ওয়াসা,পানি উন্নয়ন বোর্ড, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রিনিক্স পন্য সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ, সরকারী ও বেসরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সমূহ, সিটি কর্পোরেশন,পৌরসভা, ভোকেশনাল স্কুল, টিটিসি, টিএসসি, সৌর বিদ্যুৎ,পরমানু গবেষনা কেন্দ্র, বাণিজ্যিক ব্যাংক, শিল্প-কারখানা, গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি ইত্যাদি সহ আরো অনেক সরকারী/ বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরীর সুবিধা রয়েছে।
ভর্তির যোগ্যতা :
প্রার্থীকে সর্বোচ্চ ৮
বছর
আগে
এস.এস.সি/দাখিল/
উন্মুক্ত (বাউবি)
সমমানের পরীক্ষায় যেকোনো
বিভাগ
থেকে
নূন্যতম জি.পি.এ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে
হবে।
কোর্স স্ট্রাকচার :
শুরুতে
এই
কোর্সটির মেয়াদ
ছিল
৩
বছর।
বর্তমানে এই
কোর্সটি আরও
আধুনিক
করা
হয়েছে
এবং
৪
বছর
মেয়াদে
উন্নীত
করা
হয়েছে।
বর্তমানে কোর্স
স্ট্রাকচার:
– তিন
বছর
৬
মাস
একাডেমিক কোর্স
(৬
মাস
মেয়াদী
৭টি
সেমিস্টার)।
– বাকী
৬
মাস
ইন্টার্নশীপ কোর্স
( ট্রেড
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে)।
অর্থাৎ
৪বছরে
মোট
৮টি
সেমিস্টার পড়ানো
হয়।
টোটাল
ক্রেডিট ১৬৩।
টোটাল
সাবজেক্ট = ৫০টি
টোটাল
মার্ক
= ৮১৫০
কোর্স কারিকুলাম:
ডিপ্লোমা-ইন-ইলেকট্রিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুতের নানামুখী ব্যবহার ও
পরিমাপণ সম্পর্কে স্পষ্ট
ধারনা
পায়।এছাড়া বিদ্যুত বিল
তৈরী,হাউজ ওয়্যারিং,এস্টিমেটিং,ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি জেনারেট,ট্রান্সমিশন ও
ডিস্ট্রিবিউশন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা
ও
প্রশিক্ষণ দেয়া
হয়।এছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুতবিধি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা
দেয়া
হয়।
তাত্তি¡ক ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত
ব্যবহারিক ক্লাস
গ্রহণ
করা
হয়
যাতে
শিক্ষার্থীরা কর্মমুখী জ্ঞানলাভ ও
দক্ষ
হয়ে
গড়ে
উঠতে
পারে।
এছাড়া
শিক্ষার্থীদের তথ্য
ও
যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া
হয়
যাতে
যুগের
সাথে
তাল
মিলিয়ে
চলার
সক্ষমতা অর্জন
করতে
পারে।
উচ্চ শিক্ষার
সুযোগ:
ডিপ্লোমা-ইন-ইলেকট্রিক্যাল-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি সম্পন্ন করার পর উচ্চ
শিক্ষার জন্য
রয়েছে
বাংলাদেশের সনামধন্য সরকারী
প্রতিষ্ঠান ঢাকা
ইউনিভার্সিটি অব
ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড
টেকনোলজি (ডুয়েট)। এছাড়াও
রয়েছে
ইনস্টিটিউশন অব
ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইইবি)
এবং
বেসরকারী ইউনিভার্সিটি থেকে
মাত্র
৩
বৎসরে
বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার
সুযোগ।
Discussion about this post