আপেল খুবই পরিচিত একটি ফল। আপেলের গুণ অনেক এবং এটা সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। দিনে এক থেকে দুইটি আপেল খেলে বিভিন্ন জটিল শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে। এছাড়া ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেলের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আপেলের আরো কিছু পুষ্টিগুণ জেনে নেই-
১. হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে: আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এছাড়া আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থাকে। এটি হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। আপেলে পেকটিন নামের একটি উপাদান থাকে। পেকটিন ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
২. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে । আপেলের মধ্যে পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান থাকে যা শরীরকে কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেলের ভূমিকা আছে।
৩. দাঁত ভালো রাখে: আপেলের রস দাঁতের জন্য খুব উপকারী। এটা মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে দাঁত ভালো থাকে। এছাড়া ভালোমত চিবিয়ে আপেল খেলে মুখ নিঃসৃত লালার পরিমাণ বাড়ে, যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
৪. অ্যালঝেইমার্স ও পারকিনসনস রোগ প্রতিরোধ: গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আপেল বা আপেলের জুস খেলে বয়সজনিত জটিল অ্যালঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এছাড়া পারকিনসনস রোগ প্রতিরোধেও আপেলের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে বলে গবেষকরা দাবী করেছেন।
৫. পানিশূন্যতা দূর করেঃ আপেলে আছে প্রচুর পরিমানে পানি যা তৃষ্ণা ও পানিশুন্যতা দূর করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
৬. কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়: আপেলে প্রচুর আঁশ থাকে। আপেলের আঁশ খাদ্যনালীর চর্বির সাথে মিশে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: লাল আপেলে কোয়ার্সেটিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এটা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতেও আপেল বেশ কার্যকর।
Discussion about this post