ছেলেবেলা থেকেই অন্যদের থেকে একটু বেশি উচ্চতা ছুঁয়ে দেখার স্বপ্ন ছিল শিবাঙ্গীর। একটি ভিডিওতে শিবাঙ্গী দেখেচিল, অরুণিমা সিনহা মাউন্টেনিয়ারিং- নিয়ে গবেষণা করছেন। আর তা দেখেই উৎসাহ পায় সেন। আর অবশ্যই রয়েছে শিবাঙ্গির পরিবারের সমর্থন। প্রত্যেকদিন একটু একটু করে তার স্বপ্নকে সত্যি করার জন্য অনুপ্রেরনা যোগায় তার পরিবার।
২০১৮ সালে ১৭ই মে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই এভারেস্ট জয় করে শিবাঙ্গি। তার জীবনের লক্ষ্য সপ্তশৃঙ্গ জয় করা। সেই লক্ষ্যের পথেই যাত্রা শুরু করেছে সে। প্রথম শৃঙ্গ হিসেবে নির্বাচিত ছিল মাউন্ট এভারেস্ট।
জহর ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেন থেকে পাহাড়ে চড়ার কোর্স করছেন এই পর্বত কন্যা। এছাড়াও কাশ্মীরের দূর্গম হিমবাহে হওয়া ট্রেনিংয়েও অংশগ্রহন করে শিবাঙ্গী । আগামিদিনে অনেক মেয়েরই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে শিবাঙ্গী।
কনিষ্ঠতম পর্বতারোহী হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় উঠলেন ভারতের হরিয়ানার ১৬ বছরের কিশোরী শিবাঙ্গী পাঠক। নেপালের দিক থেকে যাত্রা শুরু করে ১৭ মে, বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে চড়েছেন তিনি।
হরিয়ানার হিসার জেলার এই কন্যার খুব ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে চড়বে। আর সেই লক্ষ্যে স্থির থেকে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই স্বপ্নপূরণ করে ফেলল শিবাঙ্গী। অরুণিমা সিনহা, প্রথম ভারতীয় প্রতিবন্ধী মহিলা হিসেবে প্রথম এভারেস্টে পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁর অনুপ্রেরণাতেই এই ছোট মেয়েটি আজ সফল।
২০১৪ সালে, তিব্বতের দিক থেকে এভারেস্টের চূড়োয় উঠে রেকর্ড গড়েছিল ১৩ বছরের মালাভাথ পূর্ণা। এভারেস্ট সামিটে বিশ্বের কনিষ্ঠতম হিসেবে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছিল ওই খুদে।
শিবাঙ্গীর এই সাহসী পদক্ষেপ দেখে বাকিরা অনুপ্রাণিত হতে পারে এবং জীবনে চেষ্টা করলে সাধনা করলে সাফল্য আসবেই এটা তার বাস্তব প্রমান।
Discussion about this post