আবিষ্কার : ১৯০৬
বিজ্ঞানী : ফ্রেডারিক গাওল্যাণ্ড হপকিনস্
ফ্রেডারিক গাওল্যাণ্ড হপকিনস্ ( ১৮৬১-১৯৪৭ খ্রী ), বৃটিশ বায়োকেমিস্ট্রি-র জনক ১৯০০ খ্রী-র প্রথমদিকে খাদ্যবিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিভান্বিত পরিক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সাফল্যলাভ করলেন । তিনি কিছু কচি ইঁদুরকে অতি সাবধানে প্রস্তুত সংশ্লেষিত খাদ্য দিলেন যার মধ্যে আছে শোধিত প্রোটিন (চঅসএনে), শ্বেতসার (সতঅরচহ) এবং স্নেহপদার্থ (লঅরদ) সহ অজৈব লবণ ও জল-এর মিশ্রণ । ইঁদুরগুলির বৃদ্ধি তো হলই না, উপরন্তু তাদের ওজন গেল কমে । অথচ ঐ খাদ্যের সঙ্গে সামান্যতম গরুর দুধ মেশালে ফল হচ্ছে আশাতিরিক্ত ভালো । তিনি বিবেচনা করলেন গোদুগ্ধে নিশ্চয় কোনও উপাদান আছে যা’ দেহের সাধারণ বৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন । তিনি সন্দেহ করলেন, পুষ্টিগত-বিদ্যায় (নতেরতেেওনঅল সতদেেএস ) সাধারণভাবে যে সব উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে এমন কিছু দ্রব্য আছে যা’ ইঁদুরের সাধারণ খাদ্যে নেই । ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দে এই সব দ্রব্যের তিনি নাম দিলেন ‘সহায়তাকারী খাদ্য-উপাদান’ ( অচচএসসওরয ফওওদ ফঅচতওরস )। অচিরেই এই উপাদানগুলির
নামকরন হল ‘ ভিটামিন ‘ । কয়েক বৎসরের মধ্যেই দেখা গেল ‘রিকেট’-এর কারণ হচ্ছে ভিটামিন ধ-র অভাব ; আর স্কার্ভিরোগের জন্য পথ্যে দরকার ভিটামিন ছ ।
১৯১২ খ্রীষ্টাব্দে হপকিনস্ তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ প্রকাশ করলেন :এএদনেগ Exপএরমেএনতস লেলসেতরঅতনেগ থহএ ঈমপওরতঅনচএ ওফ াচচএসসওরয অচতওরস নে ণওরমঅল ধেএতঅরেএস । হপকিনসের পরীক্ষা ও সিদ্ধান্তের
উপর নির্ভর করে অচিরেই ‘পুষ্টি’ বিজ্ঞানসম্মতভাবে বায়োকেমিস্ট্রি-র একটা বিশেষ অঙ্গ হিসাবে পরিগণিত হল ।
Discussion about this post