পৃথিবী যে এতো সুন্দর, তার অন্যতম কারণ হলো আকাশ।
আকাশে আছে মেঘ, মেঘ থেকে হয় বৃষ্টি। আবার রাতের আকাশে থাকে কতো তারা! একেক তারার আছে একেক নাম। বিভিন্ন ঋতুতে কিংবা দিনের বিভিন্ন সময় আকাশের থাকে একেক রঙ।
ভূপৃষ্ঠের বাইরের দিকে যে বায়ুমণ্ডল ও মহাশূন্য রয়েছে তা আকাশের অংশ। কিন্তু কখনো কি ভেবেছো আকাশের ওজন কতো, নাকি ওজনহীন?
মজার কথা হলো, আকাশের ওজন আছে। কারণ আকাশে আছে বাতাস, আর বাতাস হলো সব ধরণের বায়বীয় অণু দিয়ে তৈরি।
বাতাসের ওই অণুর মোট ওজনই আকাশের ওজন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি আকাশের ওজন থাকেই তাহলে পৃথিবী ওই ওজন কীভাবে বহন করে?
পৃথিবীর পুরো পৃষ্ঠজুড়ে বাতাসের ওজন সমানভাবে ছড়িয়ে থাকে। বাতাস সহজে চলাচল করতে পারে, তাই এটি সবদিক থেকে পৃথিবী ও মানব দেহের ওপর চাপ দেয়।
যদি আমাদের মাথার উপরই এ চাপ পড়তো, তাহলে আমরা মাটিতে পড়ে যেতাম। বাতাস চারদিক থেকে আমাদের দেহে চাপ দেয় বলেই আমরা পড়ে যাই না।
মানব দেহের ওপর বাতাসের এ চাপকে বলা হয় বায়ু চাপ। বায়ু চাপ মাপার যন্ত্রের নাম মনে আছে তো! হ্যাঁ, ব্যরোমিটার।
ভূপৃষ্ঠের প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে বাতাসের গড় ওজন ১৪.৭ পাউন্ড বা ৬.৬ কেজি যা প্রায় ১১ বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড বা ৫.২ মিলিয়ন বিলিয়ন মেট্রিক টন।
এর মানে হলো পৃথিবীর প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে আকাশের আয়তন ১৪.৭ পাউন্ড যা প্রায় ১১ বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড।
তাই, আমরা বলতে পারি যে পৃথিবীর ভরের এক মিলিয়ন হলো আকাশের ওজন।
অর্থ্যাৎ আকাশের ওজন ৫৭০,০০০,০০০,০০০,০০০টি ভারতীয় হাতির সমান!
Discussion about this post