শিক্ষার আলো ডেস্ক
ভারতের আসামের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তেজাস শুকলা বানিয়েছেন সাংকেতিক ভাষা বোঝার অ্যাপ।একদিন টিভি দেখতে দেখতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় তার। শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে দিনের সংবাদ পরিবেশন করছিলেন এক নারী। এ দৃশ্যই তাকে গভীর চিন্তায় ফেলে দেয়।
এরপর থেকে কাজে লেগে পড়ে সে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যোগাযোগের এ বাধা দূর করার চিন্তা শুরু করে এই কিশোর।
ভারতের মিনিস্ট্রি অব ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে হাতে নেওয়া এক কর্মসূচিতে তেজাস তার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গে সেটি গ্রহণ করা হয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আউটলুক ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে সময় লাগে প্রায় এক বছর। এর মধ্যে তেজাসকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বানানোর মেন্টরশিপের সুযোগ পায় সে। এই প্রকল্পের জন্য সে বিজয়ী হয়, অন্যান্য আরও প্রকল্পের জন্য তার সঙ্গেই বিজয়ী হয় আরও ১৮ জন।
তেজাসের এই অ্যাপ বানানোর অনুপ্রেরণা ছিল তার বাবা। তার বাবা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।
এ বিষয়ে তেজাস শুকলা বলে, “শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে দিনের সংবাদ পরিবেশন করছিলেন এক নারী। এ দৃশ্যই দেখে আমি বুঝতে পারি শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য অন্যান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা কতোটা কঠিন হতে পারে।”
অ্যাপটি ডেভেলপ হয়েছে এখনও বেশিদিন হয়নি। তাই এখনো শুধু ইংরেজি ভাষাতেই এই অ্যাপটি ব্যবহার করা সম্ভব। অ্যাপটিতে ধীরে ধীরে অন্যান্য ভাষা নিয়ে আসার ইচ্ছা আছে তেজাসের। তার বিশ্বাস, শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের যোগাযোগ বাধা দূর করতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে তার এই অ্যাপ।
এই অ্যাপের মাধ্যমে কী সুবিধা পাবেন শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা:
মোবাইলের ক্যামেরা অন করে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলছেন এমন কারো দিকে ধরতে হবে। কী বলছেন তা অ্যাপের মাধ্যমে অনুবাদ হয়ে যাবে। টেক্স মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ- দুটি অপশন-ই আছে এতে। এই অ্যাপ দিয়ে সাংকেতিক ভাষা বোঝা যাবে শুধু তা নয়। কেউ সাংকেতিক ভাষায় কিছু বলতে চাইলে তাও সম্ভব এই অ্যাপের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীতে বিভিন্ন শ্রবণ সমস্যায় ভোগেন প্রায় ৪৩ কোটি মানুষ।
Discussion about this post