সাবীহা সালেক
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য ইংরেজি পড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আইইএলটিএস-টোয়েফল থেকে শুরু করে জিআরই-জিম্যাটের মতো পরীক্ষায় যদি অংশ নিতে চান, সে ক্ষেত্রেও ‘রিডিং’ অংশে ভালো করার জন্য আপনাকে ইংরেজি পড়ার চর্চা করতে হবে।
শুরুটা কীভাবে করব:
পড়ার অভ্যাস ছাড়া ইংরেজি ভালো জানার সুযোগ নেই। সহজ ইংরেজি গল্পের বই যেমন হ্যারি পটার সিরিজ, শার্লক হোমস সিরিজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। এ ছাড়া নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আপনাকে সাহায্য করবে। যে বিষয়ে পড়তে আপনার ভালো লাগে কিংবা যে বিষয়ে জানতে আপনি আগ্রহী, সে বিষয়ক ইংরেজি নিবন্ধ পড়তে পারেন।
কার্যকর অভ্যাস গড়তে হবে:
পাঠক ভেদে ইংরেজি বই পড়ার চর্চা একেক রকম হয়। দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় বেছে নিয়ে বই পড়তে পারেন। তাহলে অভ্যাস গড়ে তোলাটা সহজ হবে। যেমন সকালের শুরুতে ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয় পড়বেন, এটা হতে পারে আপনার রুটিনের অংশ। পড়ার সময় কোনো শব্দ না বুঝতে পারলে অভিধান ঘেঁটে কিংবা মুঠোফোলে গুগল সার্চ করে অর্থটা জেনে নিতে পারেন। ঘড়ি ধরে পড়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট পড়বেন—এ রকম একটা সিদ্ধান্ত দিয়ে শুরুটা হতে পারে।
কী পড়ছেন, কেন পড়ছেন:
বইয়ের হাজারো ধরন আছে। কোনো বই কিছুটা অ্যানালাইটিক্যাল বা বিশ্লেষণাত্মক ধরনের হয়, যেখানে কোনো বিষয় বা ধারণার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা থাকে। কোনো বই বর্ণনাভিত্তিক, যেখানে বিষয় বা ঘটনার বর্ণনার ওপর জোর দেওয়া হয়। আবার কোনো কোনো বই আলোচনামূলক, যেখানে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া নিবন্ধ আছে, গল্প বা উপন্যাস আছে। কোন বই পড়ছেন, কেন পড়ছেন, এসব প্রশ্নের উত্তর আপনার জানা থাকা উচিত। অনেকে ইতিহাস বা সাহিত্যনির্ভর বই পড়ে শুরুর দিকের জড়তা কাটিয়ে নেন। কিন্তু এমনও তো হতে পারে—আপনার ইতিহাস বা সাহিত্য পছন্দ নয়। আপনার আগ্রহ ক্রিকেট। তাহলে আপনি ভিনদেশের বিখ্যাত ক্রিকেটারদের জীবনী পড়তে পারেন।
পরীক্ষায় যা করবেন:
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব কোর্সে ইংরেজি ভাষায় লেখার সুযোগ আছে, সেখানে ইংরেজিতে লিখুন। যে বিষয়ে পড়ছেন, সে–সংক্রান্ত ক্লাসনোট, লেকচার নিয়মিত পড়ুন, শুনুন। ইংরেজি বই, নিবন্ধ ও গবেষণাপত্র পড়ার অভ্যাস করুন। আইইএলটিএস ও টোয়েফলে ‘রিডিং’ বিভাগ অনেকের জন্য কঠিন মনে হয়। বড় বড় নিবন্ধ যেহেতু পড়ার অভ্যাস থাকে না, তাই জড়তা তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেলে এরপর নানা বিষয়ে লেখা নিবন্ধ পড়তে চেষ্টা করুন। অনলাইন বা অফলাইনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, রিডার্স ডাইজেস্ট, দ্য ইকোনোমিস্টসহ বিভিন্ন সাময়িকী ও পত্রিকা পড়তে পারেন। পড়ার সময় ‘ফাইভ ডাব্লিউ এইচ’ অর্থাৎ হু (কে), হোয়াট (কী), হোয়্যার (কোথায়), হোয়েন (কখন), হোয়াই (কেন) এবং হাউ (কীভাবে)—এসব বিষয় মাথায় নেওয়ার চেষ্টা করুন। কোন বিষয়ে পড়ছেন, পড়ার মূল বিষয়টি কী, কেন লেখা হয়েছে, লেখায় কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে—এসব খেয়াল করুন।
Discussion about this post