শিক্ষার আলো ডেস্ক
গবেষণায় অনবদ্য অবদানের জন্য এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই বিজ্ঞানী। এরা হলেন চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী।
বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উদ্ভাবনের মাধ্যমে বৈশ্বিক অগ্রগতিতে অবদান রাখা গবেষক ও আবিষ্কারকরা এই সেরা এক শ বিজ্ঞানীর তালিকায় আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাউসিয়া ‘সাস্টেইন্যাবিলিটি’ খাতে অবদানের জন্য এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
জলজ বাস্তুতন্ত্র ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি সংরক্ষণে অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি ওডব্লিউএসডি-এলসেভিয়ার ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। তিনি প্লাস্টিকদূষণের ঝুঁকি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন। মাছ ধরার পরিত্যক্ত জাল কীভাবে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, সেটি শেখানোর মাধ্যমে তিনি দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছেন, যার মাধ্যমে ওই নারীদের আয়ের বিকল্প উৎস তৈরি হচ্ছে।
দেশের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা ‘লাইফ সায়েন্সে’ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই তালিকায় স্থান লাভ করেছেন। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য গবেষণায় সমতা লাভে অন্যতম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভূমিকা রাখছেন এই অণুজীব বিজ্ঞানী। চিকুনগুনিয়ার মতো যেসব ভাইরাস শিশুদের ভোগাতে পারে তা নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করেছেন সেঁজুতি।
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালের উইমেন অব ইন্সপিরেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এবং ওয়েবি অ্যাওয়ার্ড ২০২০ উল্লেখযোগ্য।
২০২০ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল পোলিও ইরেডিকেশন ইনিশিয়েটিভের টিআইএমবির মেম্বার নিযুক্ত হন তিনি।
গাউসিয়া ও সেঁজুতির সঙ্গে এক শ জনের তালিকায় রয়েছেন চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরা।
Discussion about this post