খেলাধূলা ডেস্ক
কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। দলের মতোই অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন তামিম ইকবালও।বিপিএলে শিরোপা আগেও জিতেছেন তামিম ইকবাল। তখন অবশ্য কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলেছিলেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন অঙ্কন।
জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে কাইল মেয়ার্সের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৩৯ রান করেছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজেই।
তামিমের অধিনায়কত্ব ছিল প্রশংসার দাবিদার। শুধু তা-ই নয়, ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। ১৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৪৯২ রান করেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তিনটি ফিফটিসহ ৩৫.১২ গড়ে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৭.১৩। এমন পারফরম্যান্সই তাকে এনে দিয়েছে টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি। পুরস্কার হিসেবে ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন তামিম। এছাড়া সেরা ব্যাটার হিসেবে পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
বিপিএলে এর আগে কখনোই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতেননি তামিম।
ট্রফি হাতে নেওয়ার সময় তামিম বলেন, ‘আমি মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে ডাকতে চাই। আমি এই ট্রফি উৎসর্গ করতে চাই। মাঠে মুশি দারুণ কাজ করেছে। ফিল্ডিংয়ে পরিবর্তনগুলো তারই করা এবং এটি মুশির ট্রফি। অধিনায়ক হওয়ায় কৃতিত্ব পাচ্ছি আমি।
প্রথম শিরোপা জয়ে উচ্ছ্বসিত মুশফিক বলেন, আমাদের ভালোভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তামিমকে ধন্যবাদ। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘সত্যিই ভালো লাগছে। প্রথমত আমাদের এখানে ডাকায় তামিমকে ধন্যবাদ।
৪৬ ম্যাচের টুর্নামেন্ট শেষে সেরা ব্যাটারের খেতাবটি বসেছে তামিমের নামের পাশে। ১৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৪৯২ রান করেছেন বরিশাল অধিনায়ক। তিনটি ফিফটিসহ ৩৫.১২ গড়ে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৭.১৩। ১৪ ম্যাচে ৪৬২ রান নিয়ে দুইয়ে কুমিল্লার তাওহীদ হৃদয়। দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিসহ ৩৮.৫ গড়ে ১৪৯.৫১ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন তিনি।
বোলারদের মধ্যে ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে সবার উপরে শরিফুল ইসলাম। দল গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেলেও বল হাতে আগুন ঝরানো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তিনি। ১৩ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে দুইয়ে রংপুর রাইডার্সের সাকিব আল হাসান। তিনে আছেন ১৬ উইকেট নেওয়া তারই সতীর্থ মেহেদী হাসান। ১৫টি করে উইকেট নিয়েছেন বরিশালের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও চট্টগ্রামের বিলাল খান।
Discussion about this post