খেলাধূলা ডেস্ক
সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৫৮ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কা অনেক কষ্ট করে ২৩৫ রান করে। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা বড় ছিল না। কিন্তু পরে ব্যাটিং করা বেশ কষ্টসাধ্য হবে, এমনটাই বলা হচ্ছিল পিচ নিয়ে। সেই পূর্বানুমান মিথ্যা করে বাংলাদেশ সহজে জিতে গেলো। ৫৮ বল হাতে রেখে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ এ নিশ্চিত করলো তারা।
২৩৬ রানের লক্ষ্যে নেমে তানজিদ হাসান তামিম ও এনামুল হক বিজয় ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। একপ্রান্ত আগলে রেখে তামিম ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার বিদায়ের পর মুশফিক ও মিরাজের ৪৯ রানের জুটি বাংলাদেশের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে।
রান তাড়ায় নামা বাংলাদেশকে শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা খেতে হয়। নিজেদের বোলিং ইনিংসের শেষ দশ ওভারে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। এর মধ্যে ছিলেন সৌম্য সরকারও। শেষ অবধি এই ওপেনারের কনকাশন সাব করতে হয়।
তার জায়গায় ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম অবশ্য আলো ছড়িয়েছেন। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৫০ রানের জুটি ছিল তার। ২২ বলে ১২ রান করে ড্রাইভ করতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে আভিশকা ফার্নান্দোর হাতে ক্যাচ দেন বিজয়। লাহিরু কুমারার বলে আউট হয়ে যান তিনি।
পরের ওভারে এসে নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরান কুমারা। তার বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন ৫ বলে ১ রান করা এই ব্যাটার। পরে কুমারাই নেন তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের উইকেট। ২৫ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি ছোঁয়া তানজিদ খেলেন ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের ইনিংস।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মিরাজকে ফিরিয়ে হাসারাঙ্গা চাপ বাড়ান বাংলাদেশের ওপর। ৬২ বলে ৪৮ রানের জুটি ছিল তাদের। মিরাজ ফেরার পর উইকেটে আসেন রিশাদ।
উইকেটে এসে প্রথম বলেই হাসারাঙ্গাকে ছক্কা হাঁকান রিশাদ। ওই ওভারের বাকি চার বলে আরও একটি চার ও ছক্কা। হাসারাঙ্গা আবার ৪০তম ওভার করতে আসেন। ওই ওভারে ২৪ রান নেন রিশাদ। দলের জয়ও তখন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে থিকসানাকে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক।
Discussion about this post