খেলাধূলা ডেস্ক
মিচেল স্টার্ক। নামটাই যথেষ্ঠ। তাঁর পরিচয় আলাদা করে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু এ বারের আইপিএলে শিরোনামে মিচেল স্টার্ক। ফরম্যাট যাই হোক, মিচেল স্টার্ক বরাবরই ফ্যাক্টর। আর তাঁকে নিতে এ বারের মিনি অকশনে টাকার বৃষ্টি ঝড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিন্তু এবার আশা এবং আশঙ্কা দুটি বিষয়ই যেন কাজ করছে কেকেআর শিবিরে। এবারের আইপিএল শুরুর আগে নিলামে ২৪.৭৫ কোটি টাকা খরচ করে মিচেল স্টার্ককে কিনেছিল কেকেআর দল।আইপিএলে এবার স্টার্ক খেলছেন লিগটির ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে। তবে প্রথম দুই ম্যাচে একেবারেই ভালো পারফরম্যান্স করেননি তিনি। উইকেট পাননি একটিও। উল্টে বেশ রান বিলিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে বেড়েছে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা। এরই মধ্যে তাকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ারও দাবি উঠেছে। এবার তাকে নিয়ে কথা বললেন কেকেআরের বোলিং কোচ ভরত অরুণ।তবে এর পরেও স্টার্ককে নিয়ে আশাবাদী কেকেআর—এর বোলিং কোচ ভরত অরুণ।
কেকেআর ইতিমধ্যেই ইডেনে মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের। আর দ্বিতীয় ম্যাচটি তারা খেলেছে বেঙ্গালুরুতে আরসিবির বিরুদ্ধে। দুই ম্যাচ মিলিয়ে স্টার্কের বোলিং ফিগার শূন্য উইকেটে ১০০ রান। উইকেট না পাওয়ার পাশাপাশি যে ভাবে বিপক্ষ ব্যাটাররা তাঁকে অবলীলায় মেরে চলেছেন, তাতে সমর্থকদের মনে জেগেছে আশঙ্কা।
আজ (বুধবার) বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলতে নামবে কেকেআর। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে অরুণকে প্রশ্ন করা হয় স্টার্কের ফর্ম নিয়ে। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ক। ও এমন একজন ক্রিকেটার যে পরিবেশ পরিস্থিতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। সব কিছু বুঝে নিয়ে তার সঙ্গে ও ভালো ভাবেই মানিয়ে নিতে পারে। এটা ওর একটা বড় গুণ। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতের ম্যাচগুলোতে আমরা অন্য এক মিচেল স্টার্ককে পাব। আমি এটা বলব যে, ওর প্রাইস ট্যাগ ওর উপর আলাদা করে চাপ তৈরি করছে না। আমরা ওর শক্তির দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। আমি নিশ্চিত, ও জানে যে, ওকে কী করতে হবে। সফল হতে গেলে ওকে কি করতে হবে, সেটা ওকে আলাদা করে বলে দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সমস্ত কন্ডিশনে ও খেলেছে। ফলে ওর অভিজ্ঞতার সম্ভার বিপুল। আমার মনে হয়, এটা সময়ের অপেক্ষা।ম্যাচে বিধ্বংসী রূপে ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
অন্যদিকে সাবেক অজি অধিনায়ক ক্লার্ক বলেছেন, আইপিএলের মতো লিগে বিদেশিদের কাজ বরাবরই কঠিন, ‘এটা যে শুধু টাকার পরিমাণ, তা নয়। বিদেশি ক্রিকেটার মানেই জানার কথা যে প্রত্যাশা থাকবে। আইপিএলে মাত্র ৪ জন বিদেশি খেলে (একাদশে)। এর ফলে পারফর্ম করার চাপ সব সময়ই থাকে। না করলে অন্য কেউ জায়গা নিয়ে নেবে। আর সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের খেলোয়াড় হলে তো প্রত্যাশা আরও বেশি—আপনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন। দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।’
অস্ট্রেলিয়ার আরেক সাবেক অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের মতে, এ রকম পারিশ্রমিক পাওয়া খেলার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। ইএসপিএনের ওই শোতে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘শুধু সংখ্যা নয়, আপনি নিজের ওপর যে প্রত্যাশা তৈরি করেছেন। আপনি আর সবার মতোই পারফর্ম করতে চাইবেন। মাঝেমধ্যে মনে হবে, (যে টাকা পাচ্ছি সেটির) যথার্থতা প্রমাণ করি।’
দীর্ঘদিন পর আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে কলকাতার জার্সি গায়ে তোলেন এই অজি গতিতারকা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচেও ফর্মে ছিলেন স্টার্ক। কিন্তু আইপিএলে নেমেই তার বিবর্ণ রূপ।
Discussion about this post