ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। বৈশ্বিক মহামারির কারণে আর সবকিছুর মতো খেলার জগতও স্থির হয়ে আছে। সমর্থকদের তৃপ্ত থাকতে হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাইভ ভিডিও এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটের পডকাস্টে। সেখানেই তারকাদের নানা মজার তথ্য জানার সুযোগ হচ্ছে সবার। বিবিসির পডকাস্টের সুবাদেই যেমন জানা গেল শহীদ আফ্রিদির দিনলিপির কিছু খবর।
করোনাকালে শহীদ আফ্রিদি অনন্য হয়ে উঠেছেন। নিজের ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাকিস্তানের হতদরিদ্র মানুষদের সাহায্য করছেন। লকডাউনের ফলে যারা উপার্জন করতে পারছেন না তাদের বেঁচে থাকার সহায় হয়েছেন আফ্রিদি। শুধু দেশের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখেননি। বাংলাদেশের অসহায় মানুষকে বাঁচানোর জন্য নিলামে ওঠা মুশফিকুর রহিমের ব্যাট ২০ হাজার ডলার দিয়ে কিনে নিয়েছেন। বলেছেন, ক্যারিয়ারজুড়ে বাংলাদেশের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছেন, তাতে মনে হয়েছে এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের লড়াইয়ে সঙ্গী হওয়া উচিত তাঁর।
এসবই গুরুগম্ভীর বিষয়। কিন্তু জীবনের অন্যদিকও তো আছে। বিবিসির সঙ্গে পডকাস্টে হাজির হওয়া আফ্রিদির রসিক পরিচয়টাও পাওয়া গেল। বিবিসির পডকাস্ট দুসরায় সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান সঞ্চালক ইসা গুহ, বিবিসির সঞ্চালক অঙ্কুর দেশাই ও দুসরার সঞ্চালক আতিফ নেওয়াজের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন আফ্রিদি। সেখানেই আতিফ প্রশ্ন করলেন অন্য কোনো রোজার সময়কার সবচেয়ে পরিচিত বিষয় নিয়ে, ‘বিশ্বের সবাই জানতে চান, আফ্রিদি কী দিয়ে ইফতারি করেন?’
জবাবে আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমি ইফতারি শুরু করি একটি খেজুর ও ফলের চাটনি দিয়ে। এর পর গ্রিলড চিকেন। আর সে সঙ্গে একটা পাকোরা থাকে।’ এরপর স্থুলকায় আতিফকে খোঁচা দিয়েছেন আফ্রিদি, ‘দুইটা বা তিনটা পাকোরা না। একটা, নাহলে আমি তোমার মতো হয়ে যাব।’ আফ্রিদির কথা শুনে তিন সঞ্চালকেরই হেসে গড়াগড়ি দেওয়ার দশা হয়েছিল। হাসি আটকাতে আটকাতে আফ্রিদি বলেছেন, ‘দুঃখিত, কিন্তু আমার জন্য একটি পাকোরাই যথেষ্ট।’
এরপরই সাহরির মেন্যুও জানিয়ে দিয়েছেন আফ্রিদি, ‘সেহরিতে আমি দেশি পরটা খাই। দেশি পরটার সঙ্গে ডিমের অমলেট।’
Discussion about this post