ক্রীড়া ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আজ ১৫ বছর পূর্তি হলো বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। ২০০৫ সালের ২৬ মে, ঐতিহাসিক লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম খেলতে নামেন। সেটি ছিল টেস্ট ম্যাচ। ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৫৬ বলে ৩টি চারে করেন ১৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ বলে করেন ৩ রান। উইকেটরক্ষক হিসেবে ঐ ম্যাচ খেলতে হয়নি মুশফিকের। কারণ তখন দলে ছিলেন সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক খালেদ মাসুদ। মুশফিকের অভিষেক ম্যাচে ইনিংস ও ২৬১ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
একই বছর আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ও নভেম্বরে খুুলনায় টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মুশফিকের। সময় গড়ানোর সাথে সাথে তিনি দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হয়ে উঠেন। তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। দেশের পক্ষে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৩৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার রেকর্ড মুশফিকের দখলে। তার অধীনে ৭টি জয়, ১৮টি হার ও ৯টি টেস্ট ড্র করে। এছাড়া ৩৭টি ওয়ানডে ও ২৩টি টি-টোয়েন্টিতে দলের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
১৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৭০ টেস্টে ৭টি সেঞ্চুরি ও ২১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৪১৩ রান, ২১৮টি ওয়ানডেতে ৭টি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৬১৭৪ রান ও ৮৬টি টি-টোয়েন্টিতে ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১২৮২ রান করেছেন মুশফিক। টেস্টে দেশের পক্ষে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরিটাও তার কীর্তি। এই মুহূর্তে তিনি সর্বোচ্চ ৩টি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক। বাংলাদেশে যেটি আর কারও নেই।
সম্প্রতি জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় ১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটানো নিয়ে কথা বলেন মুশফিক। তিনি বলেন, ‘প্রথমত আলহামদুলিল্লাহ। আমি মনে করি, এটা আল্লাহর অশেষ রহমত। যেকোনো খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। বাংলাদেশের মতো জায়গায় ১৫ বছর খেলা চাট্টিখানি কথা নয়। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, বিশেষ করে আমার সতীর্থ, কোচ, আমার ফ্যামিলি এবং বিশেষ করে তোকে, মাশরাফি ভাই, রিয়াদ ভাই, সাকিবসহ যত জনের সঙ্গে খেলেছি।’
Discussion about this post