ক্রীড়া ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের কথা মনে আছে? হারতে হারতে শেষ মুহূর্তে জিতে গিয়েছিল ভারত। সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের শেষ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের নিশ্চিত জয় কেড়ে নেন দিনেশ কার্তিক।
এমন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জিতে উল্লাসে মেতেছিল ভারতীয় শিবির। উল্টো চিত্র ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। দলের খেলোয়াড়দের সবার মধ্যেই ছিল স্বপ্নভঙ্গের বেদনা।
তবে অনেকেই হয়তো জানেন, সেদিন ভারতীয় ড্রেসিংরুমেও একজন বেদনায় মুষড়ে পড়েছিলেন। না, বাংলাদেশের হারের কষ্টে নয়, নিজের পারফরম্যান্সের কারণে।
সেই ক্রিকেটারের নাম বিজয় শঙ্কর। ভারতীয় এই অলরাউন্ডার নিজেই সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন এক অনুষ্ঠানে। জানালেন, সেই রাতটা কতটা কষ্টে কেটেছিল তার।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। বিজয় শঙ্করকে বেধড়ক পিটিয়েছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। শঙ্কর ৪ ওভারেই খরচ করেছিলেন ৪৮ রান।
এরপর ব্যাট করতে নেমে আরেক দুঃস্বপ্ন। ভারতের যখন ওভারপ্রতি ১১ রান দরকার, ১৯ বলে মাত্র ১৭ রান করতে পারেন শঙ্কর। বলতে গেলে একাই ম্যাচটা হারিয়ে দিচ্ছিলেন।
শেষতক দারুণ ব্যাটিংয়ে দিনেশ কার্তিক জিতিয়ে দিলেও সেদিন শঙ্কর পড়েছিলেন ভীষণ অস্বস্তি আর লজ্জায়। নীরবে কেঁদেছিলেন, ভেঙে পড়েছিলেন মানসিকভাবে। তবে সাবেক ক্রিকেটার লক্ষ্মীপতি বালাজি আর সুব্রামানিয়াম বদ্রিনাথের কথাগুলো তখন তাকে হতাশা থেকে আলোর পথ দেখায়।
২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতেই বদ্রি আর বালার কাছ থেকে আমি দুটো বড় শিক্ষা অর্জন করেছিলাম। বদ্রি আমাকে বলেছিলেন-যদি তুমি যথেষ্ট ভালো খেলোয়াড় হও, কেউই সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা আটকাতে পারবে না। বালা বলেছিলেন-লজ্জা আর অস্বস্তি সামলে নিতে পারাটাই জীবনের আসল কথা।’
শঙ্কর যোগ করেন, ‘ওই সময়টায় আমার কাছে এই কথাগুলো অনেক বড় মনে হচ্ছিল। যখন এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়লাম। আমি এটা ঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারলাম।’
ভারতীয় এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘নিদাহাস ট্রফির পরের সময়টা আমার জন্য ছিল বেদনার। যখন সে কষ্ট থেকে মুক্তির প্রয়োজন পড়লো, আমি তাদের সেই শিক্ষার কথা স্মরণ করলাম। এটা আমাকে দারুণভাবে সাহায্য করে।’
Discussion about this post