ক্রীড়া ডেস্ক
টোকিও অলিম্পিক সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা হবে কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। এমনটি মনে করেন আইওসির সভাপতি থমাস বাখ। সবার আগে অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রাধান্য পাবে এ অলিম্পিকে। এদিকে, টোকিও অলিম্পিকের প্রধান নির্বাহী তোসিরো মুতো মনে করেন, করোনার মধ্যেও এই অলিম্পিক আয়োজন হতে পারে সারা বিশ্বের কাছে এক দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ।
২৪ জুলাই ২০২০। এই তারিখেই হওয়ার কথা ছিলো টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সে হিসেবে এখন জাপানের টোকিওতে থাকতো অলিম্পিক গেমসের উন্মাদনা। কিন্তু এক করোনা ভাইরাস সব কিছু ওলট পালট করে দিয়েছে। পিছিয়েছে অলিম্পিক গেমস। এক বছর পিছিয়ে ২০২১ এর ২৩ জুলাই পর্দা উঠবে টোকিও অলিম্পিক গেমসের।
কিন্তু টোকিও অলিম্পিক হবে কি হবে না, কিভাবে হবে। তা নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা অলিম্পিক আয়োজক কমিটির। আইওসির সভাপতি থমাস বাখও মনে করেন, টোকিও অলিম্পিক সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা খুব একটা সহজ হবে না। সবকিছু মেনে আয়োজন করাটাই হবে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
আইওসি সভাপতি থমাস বাখ বলেন, ‘আমরা সচরাচর যেভাবে অলিম্পিক গেমস আয়োজন করে থাকি। এবার তা একেবারেই ভিন্ন। টোকিও অলিম্পিক হবে আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে যেকোন সময় যেকোন কিছু হয়ে যেতে পারে। তাই সবার আগে আমাদের অলিম্পিকের কথা চিন্তা করতে হবে। অ্যাথলেটদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব আয়োজন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেনো কোন অ্যাথলেট করোনা আক্রান্ত না হয় এবং তারা যেনো নির্বিঘ্নে তাদের পারফরম্যান্স চালিয়ে যেতে পারে।”
এদিকে, আয়োজক দেশ জাপানের অনেকেই চান না এই করোনার মধ্যে তাদের দেশে এমন বড় একটা ইভেন্ট হোক। কারণ এতে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। অবশ্য টোকিও অলিম্পিকের প্রধান নির্বাহী মনে করেন, সব কিছু ঠিক রেখে করতে পারলে মানুষের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসবে।
টোকিও অলিম্পিকের প্রধান নির্বাহী তোসিরো মুতো জানান, ‘পুরো বিশ্বের পর্যটকরা টোকিও অলিম্পিকে আসতে পারবে না এটা স্বাভাবিক। তবে আমরা চেষ্টা করবো অলিম্পিকের সময় যেনো এমন পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারি। যেখানে পর্যটকরা আসতে আগ্রহী হবে। আমার মনে হয় মানুষের চিন্তাধারা অবশ্যই পাল্টাবে।’
টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আয়োজক জাপানকে। তাই শুরুতে পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে কিছুটা দুঃশ্চিন্তা থাকলেও এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে বলে মনে করেন, এই অলিম্পিক কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, ”জানি, করোনার কারণে মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য ভালো যাচ্ছেনা। তবে, অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলেও, অনেক কোম্পানি আমাদের কাছে এসেছে এবং এখনো আসছে। তারা অলিম্পিকের পৃষ্ঠপোষক হতে চায়। এটা আমাদের জন্য অনেক ভালো একটা দিক।”
করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বকে একরকম থমকে দিয়েছে। সেখানে অলিম্পিকের মতো এত বড় এক আসর আয়োজন করতে পারলে তা দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করেন টোকিও অলিম্পিকের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
Discussion about this post