ক্রীড়া ডেস্ক
ইংল্যান্ড বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড গত বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি। তবে এমন একটি দলকে বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলতে না দেয়াটা যে কত বড় ভুল, সেটি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আইরিশরা।
বরাবরই তাদের জায়ান্ট কিলার বলা হয়। আইরিশদের এই কিলিং মেশিনে এবার ধরা পড়ল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। শুধু ধরা না, ইংলিশদের তাদেরই মাটিতে রীতিমত নাকানি চুবানি খাওয়াল অ্যান্ডি বালবির্নির দল।
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। তৃতীয় ম্যাচটিতেও স্বাগতিকদের জন্য সহজ জয় অপেক্ষা করছে প্রথম ইনিংস শেষে তেমনটাই মনে হয়েছিল। সাউদাম্পটনের অ্যাগাস বোলে যে ৩২৮ রানের বড় সংগ্রহই গড়েছিলেন ইয়ন মরগ্যানরা।
কে জানতো, এই রানকেও মামুলি বানিয়ে ছাড়বে আয়ারল্যান্ড। হ্যাঁ, সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের চমকে দিয়ে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে আইরিশরা। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
এটি অবশ্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয় নয় আইরিশদের। এর আগেও এবার এমন আপসেটের জন্ম দিয়েছিল তারা, ২০১১ বিশ্বকাপের মঞ্চে। ব্যাঙ্গালুরুতে কেভিন ও’ব্রায়েনের (৬৩ বলে ১১৩) অসাধ্য সাধনে ৩২৮ রান তাড়া করে ৩২৯ তুলেই জিতেছিল দলটি।
মঙ্গলবারের ম্যাচে ওই কেভিন ও’ব্রায়েনের ব্যাট থেকেই এসেছে জয়সূচক রানটি। ১৫ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সঙ্গে ২৬ বলে ২৯ রান করে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন হেরি টেক্টর।
আয়ারল্যান্ডের এই দুর্দান্ত জয়ের ভিতটা অবশ্য গড়ে দিয়েছিলেন পল স্টার্লিং আর অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি। ৫০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর জোড়া সেঞ্চুরিতে দলকে টেনে নিয়ে যান তারা। দ্বিতীয় উইকেটে এই যুগল তুলেন ২১৪ রান।
১২৮ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কায় ১৪২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে রানআউটের কবলে পড়েন স্টার্লিং। এরপর ১১২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে ১১৩ রান করা বালবির্নিও ফিরে যান সাজঘরে। তবে ততক্ষণে জয়টা বলতে গেলে কাছে চলে এসেছে আইরিশদের। বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন ও’ব্রায়েন আর টেক্টর।
এর আগে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পরও ইয়ন মরগ্যানের দায়িত্বশীল এক সেঞ্চুরি আর লোয়ার অর্ডারে ডেভিড উইলি আর টম কুরানের ব্যাটিংয়ে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ৩২৮ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
মরগ্যান ৮৪ বলে ১৫ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন ১০৬ রানের ইনিংস। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। ৪৪ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারানো দলকে টেনে তুলতে টম ব্যান্টনকে নিয়ে ১৪৬ রানের জুটি গড়েন ইংলিশ দলপতি। ব্যান্টনের ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
তারপরও ২১৬ রান তুলতে ৭ উইকেট হারিয়ে বসেছিল স্বাগতিকরা। উইলি আর কুরান মিলে সেই বিপদ সামলেছেন। অষ্টম উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা। উইলি ৪২ বলে ৫১ রানে আউট হন। কুরান ৫৪ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন ক্রেইগ ইয়ং। ২টি করে উইকেট শিকার জস লিটল আর কুর্টিস ক্যাম্ফারের।
Discussion about this post