ক্রীড়া ডেস্ক
ফিরতি লেগের আগে নাপোলি কোচ জেনারো গাত্তুসোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লিওনেল মেসিকে আটকাতে কিছু ভেবেছেন কি না? ইতালির সাবেক এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বলেছিলেন, ‘শুধু স্বপ্নেই সম্ভব। কিন্তু ছেলের প্লে স্টেশনে বার্সেলোনা বনাম নাপোলি ম্যাচে করতে পারি।’
ক্যাম্প ন্যু তে কাল রাতে সেই সুযোগ পাননি গাত্তুসো। না স্বপ্ন, না প্লে স্টেশন বরং বাস্তবে রক্ত-মাংসের মেসির মুখোমুখি হতে হয়েছিল নাপোলি কোচকে। ফল নিশ্চয়ই এতক্ষণে জানা। মেসির গোলটাও নিশ্চয়ই চোখে লেগে আছে!
এমন গোল প্রতিদিন দেখা যায় না। মেসি নিজে খেলেছেন দুর্দান্ত, বার্সাও উঠেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে, তবে মেসির গোলটাই কালকের ম্যাচের সেরা মুহূর্ত। গোলটি দেখে মুখ ফুটে অস্ফুটে বেরিয়ে আসে অবিশ্বাস্য! গোল ডট কমের টুইট, ‘লিওনেল মেসি মানুষ না।’
বাতাসে ভাসানো বলটা লুই সুয়ারেজের কাছ থেকে পেয়েছিলেন মেসি। ঠিকমতো পায়ে নামিয়ে দৌড় শুরু করেন নাপোলি বক্সের উদ্দেশে। ডান প্রান্তে গোলপোস্ট থেকে বার্সা তারকা তখনো প্রায় ৪০ গজের মতো দূরত্বে। দৌড় শুরু করে সামনে তিন ডিফেন্ডার পেয়ে পায়ের কারুকাজে ছিটকে ফেলেন তাঁদের। কিছুটা ভাগ্যের সহায়তাও ছিল। দু-বার পড়ে গিয়েও বলের নিয়ন্ত্রণ হারাননি মেসি।
বক্সের ভেতর মেসিকে শট নিতে না দিতে সামনে জটলা পাকান ডিফেন্ডাররা। গ্রিক ডিফেন্ডার কস্তাস মানোলাস চেস্টা করেছিলেন মেসির শট নেওয়ার কোনো সুযোগ না দিতে। কিন্তু তাঁর পায়ের পাশে ইঞ্চিখানেক ফাঁকা জায়গা দিয়েই শট নেন আর্জেন্টাইন তারকা। বাঁ পায়ের বাঁকানো নিখুঁত সেই শটের জাল ছোঁয়া ঠেকাতে পারেননি নাপোলি গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনা। ২৩ মিনিটে মেসির এই অবিশ্বাস্য গোল ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোয় মেসির চেয়ে বেশি গোল আর কারও নেই। এ নিয়ে ২৭ গোল করলেন তিনি। ২৪ গোল নিয়ে দুইয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ ছাড়াও ইউরোপের সেরা ক্লাব হওয়ার এ প্রতিযোগিতায় ৩৫টি আলাদা দলের বিপক্ষেও গোল পেলেন মেসি।
Discussion about this post