ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাকালে বাংলাদেশের অনেকগুলো সিরিজই বাতিল হয়ে গেছে। তার ওপর মুশফিকুর রহিম-তামিম ইকবালরা কাটিয়েছেন ঘরবন্দি জীবন। এই অবস্থায় সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে কিছুটা ভাবনা থাকার-ই কথা। কারণ দীর্ঘদিন খেলার মাঝে নেই টাইগাররা। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, শ্রীলঙ্কা সফরকে ‘ভালো সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ।
নানা জল্পনা-কল্পনার পর বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর। এই সফরে বাংলাদেশ তিনটি টেস্ট খেলবে। সঙ্গে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা থাকলেও নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ শুরু হচ্ছে বলে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজটি বাদ দিয়েছে।
তাই সিরিজ শুরুর আগে বেশ কিছু জায়গায় এখনও কাজ করা বাকি ক্রিকেটারদের। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও সেই কথা স্বীকার করেছেন। তবে ঘাটতি থাকার পরেও আসন্ন এই সিরিজ নিয়ে খুব আশাবাদী তিনি, ‘চার মাসে বিসিবি কিছু সেশন ঠিক করে দিয়েছিল, আমরা যেন মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ২/৩ টা সেশন করেছি। আমার মনে হয় সবাইকে এটা সাহায্য করেছে। চার মাস সময়টা সহজ ছিল না। এখন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওখান (ট্রমা) থেকে বের হয়ে মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় চলে আসা। কারণ আমাদের একটা বড় সফর আছে সামনে। আমি বিশ্বাস করি, শ্রীলঙ্কা সফরে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে।’
করোনা-বিরতির পর ঈদের আগেই প্রথম দফায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছিল। ঈদের পর দ্বিতীয় দফায় সংখ্যাটা আরও বাড়ে। দুইদিন আগে তৃতীয় দফার অনুশীলনে মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। অসুস্থতার কারণে লন্ডন গিয়েছিলেন বলেই এত দেরি। সেখান থেকে ফিরে সরকারি নিয়মে ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে তাকে। এই পর্ব শেষ করে রবিবার থেকে হোম অব ক্রিকেটে ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করেছেন। তাই মাঠে ফিরতে পারার আলাদা আনন্দ কাজ করছে তামিমের, ‘এই তিন-চার মাস সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। বাসায় থাকলেও সবাই মানসিক চাপে ছিল। আমরা যেভাবে সাধারণ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত, সেটা করতে পারছিলাম না। আমরা নিজেদের পাশাপাশি আমাদের পরিবারের স্বাস্থ্য নিয়েও দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন আমরা যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। অবশেষে সেই কাজটি করতে পারছি, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’
এই করোনা-বিরতিতে দীর্ঘ ৫ মাস প্রিয় ব্যাটটি আর ছুঁয়ে দেখা হয়নি তামিমের। বাসায় ট্রেডমিলে দৌঁড়ানোর পাশাপাশি হালকা জিম করেছেন। তাতেও ফিটনেসের ঘাটতি রয়েই গেছে। কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে এই বিরতি তামিমের ব্যাটিংয়ে তেমন কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। যা দেখে তামিম নিজেই বিস্মিত, ‘অনেক দিন পর ব্যাটিং শুরু করলাম। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যতটা হতাশ হবো ভেবেছিলাম, বিস্ময়কর ভাবে ততোটা খারাপ অবস্থা হয়নি। ব্যাটিংটা মোটামুটি ঠিকই আছে।’
তবে ফিটনেসের ঘাটতি রয়েই গেছে তামিমের। সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিতে আপাতত কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘ফিটনেসের দিক থেকে কিছুটা সমস্যা আছে। বাসায় ট্রেডমিল বলেন, কিংবা অন্যভাবে কাজ করা বলেন, মাঠ ও বাসার মধ্যে পার্থক্য আছে। শুরুতে তাই কিছুটা সমস্যা হলেও মানিয়ে নিতে আর সপ্তাহখানেকের মতো লাগবে। যেভাবে নিয়ম মেনে সবকিছু করছি, আমরা আশা করি এভাবে এগিয়ে যেতে পারলে ভালো অবস্থানে থাকতে পারবো।’
Discussion about this post