খেলাধূলা ডেস্ক
চ্যাম্পিয়নস লিগে চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। গ্রুপ পর্বে গেল মৌসুমের রানার্স আপ টটেনহ্যামকে দুই লেগ মিলিয়ে ১০-৩ গোলে হারিয়েছে তারা। এর মধ্যে এক লেগে জয় পেয়েছে ৭-২ গোলে। অলিম্পিয়াকোসকে দু্ই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে এবং রেড স্টার বেলগ্রেডকে তারা দুই লেগে মিলিয়ে হারিয়েছে ৯-০ গোলে।
শেষ ষোলোয় ঠিক একইভাবে বায়ার্ন মিউনিখ উড়িয়ে দিয়েছে চেলসিকে। দুই লেগ মিলিয়ে জার্মান ক্লাবটি ৭-১ গোলে উড়িয়ে শেষ আটে জায়গা নিশ্চিত করেছিল। আর সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বার্সাকে ৮-২ গোলের ঐতিহাসিক পরাজয় উপহার দিয়েছে বায়ার্ন। লিগ শিরোপা জয়ী দলটি অসাধারণ এই ফুটবল উপহার দিচ্ছে ‘ফ্রিতে পাওয়া’ ফুটবলারে।
লিসবনে এক লেগের শেষ আটের ম্যাচে বায়ার্নের হয়ে দুটি গোল এবং এক গোলে সহায়তা দিয়েছেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড ফিলিপে কুতিনহো। বার্সেলোনায় জায়গা হারানোয় ধারে জার্মান ক্লাবে খেলছেন তিনি। বার্সার হয়ে প্রথমার্ধে দারুণ এক গোল করেছেন ক্রোয়াট উইঙ্গার পেরিসিচ। তিনিও বায়ার্নের অর্থ দিয়ে কেনা ফুটবলার নন। ইন্টার মিলান থেকে ধারে খেলছেন জার্মান ক্লাবে।
এবার বলা যাক সের্গি গিনাব্রির কথা। আর্সেনাল থেকে এ ক্লাব সে ক্লাব ঘুরে ২৫ বছর বয়সী তারকা ২০১৭ মৌসুমে বায়ার্নে আসেন। কিন্তু জার্মান ক্লাবটি তাকে ধারে ছেড়ে দেয়। গেল মৌসুমে তাকে ধার থেকে ফিরিয়ে এনেছে বায়ার্ন। চলতি মৌসুমে গিনাব্রিকে বায়ার্ন মিউনিখের আবিষ্কার বলা যায়। বার্সেলোনার বিপক্ষে তিনি করেছেন এক গোল, সহায়তা দিয়েছেন এক গোলে। আর গ্রুপ পর্বে টটেনহ্যামের বিপক্ষে এক ম্যাচে তিনি করেছিলেন চার গোল।
চলতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের আরও এক আবিষ্কার ১৯ বছর বয়সী আলফনসো ডেভিস। গত মৌসুমে কানাডিয়ান এই লেফট ব্যাক এবং পার্টটাইম উইঙ্গার ছিলেন বায়ার্নের রিজার্ভ টিমে। চলতি মৌসুমেই মূল দলে খেলছেন তিনি। অথচ ম্যাচের আগে তাকেই বায়ার্ন দিয়েছিল মেসিকে আটকানোর দায়িত্ব। তাকে কিনতে বায়ার্নের অবশ্য খরচা হয়েছিল ২২ মিলিয়ন ইউরো। এখন তার দাম তিন গুন। তিনিও করিয়েছেন এক গোল। সব মিলিয়ে বার্সার বিপক্ষে বায়ার্নের আট গোলের ছয়টি এসেছে ফ্রিতে পাওয়া ফুটবলারের পা থেকে।
ডেভিসেরটা ধরলে সাতটি। চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখ প্রতিপক্ষের জালে নয় ম্যাচ খেলে দিয়েছে ৪২ গোল। এর মধ্যে বায়ার্নের ফ্রিতে পাওয়া ফুটবলাররা করেছেন ১২ গোল। সরাসরি সহায়তা দিয়েছেন আরও ছয় গোলে। আলফনসো ডেভিসকে ঠিক ফ্রিতে পাওয়া নয় তারপরও রিজার্ভ দল থেকে আসা তরুণ তারকার গোল ও সহায়তা ধরলে সংখ্যাটা আরও তিন বাড়বে। সব মিলিয়ে এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে ফ্রিতে পাওয়া ফুটবলারেই বাজিমাত করছে বায়ার্ন। শিরোপা জিতলেও তাদের থাকবে বড় ভূমিকা।
Discussion about this post