ক্রীড়া ডেস্ক
সব মান-অভিমানের সমাপ্তি হয়েছে আগেই। বার্সেলোনাতেই থাকছেন লিওনেল মেসি। গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এই তারকা ফুটবলার নিশ্চিত করেন আরও এক মৌসুম ন্যু ক্যাম্পেই থাকবেন তিনি। এর মাধ্যমে টানা দশ দিন ধরে চলা অচলাবস্থার পর হাফ ছেড়ে বাঁচলো কাতালান ক্লাবটি।
আশার কথা হলো সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বার্সার অনুশীলনে ফেরার কথা মেসির। এজন্য আজ করোনা টেস্টে অংশ নেবেন। নেগেটিভ এলেই কেবল মাঠে ফিরতে পারবেন ছয় বারের ব্যালন ডি অর জয়ী।
এর আগে গত রোববার বার্সার পিসিআর টেস্টে অংশ নেননি মেসি। উপস্থিত হননি পরবর্তী অনুশীলনেও। তাই সংবাদমাধ্যমে জোর গুঞ্জন ছিল- লড়াইয়ে হেরে গেলে বড় ধরনের জরিমানা অপেক্ষা করছে এই ফুটবলারের জন্য। এমনকি নিষিদ্ধও হতে পারেন। তবে ক্লাব থেকে জানানো হয়, তারা তাদের সেরা খেলোয়াড়কে এমন কোন শাস্তির আওতায় আনবেন না।
এদিকে, নিজ ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেসি বার্সায় থেকে যাওয়ার ঘোষণা কেনো দিয়েছেন- তা কারোরই বুঝতে বাকি নেই। মূলত রিলিজ ক্লজ ইস্যু থেকে বের হতে না পারায় পুরনো ঠিকানাতেই থেকে যেতে হচ্ছে তাকে। এজন্য অভিযোগের তীরটা ছুঁড়েছেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউয়ের দিকেই। তার দাবি, পূর্বের দেওয়া কথা রাখেননি বার্তেমেউ। তাই তাকে শেষ পর্যন্ত থেকেই যেতে হলো।
গোল ডটকমকে মেসি বলেন, ‘আমি ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার কথা প্রেসিডেন্টকে আগেই জানিয়েছি। তিনি বলতেন, সেই সিদ্ধান্ত মৌসুমের শেষেও নিতে পারবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তার কথা রাখেন নি। এখন বার্সা থেকে বলা হচ্ছে- চলে যাওয়ার কথা আমি কেন ১০ জুনের আগে বলিনি। কিন্তু মহামারির কারণে ওই সময়টাতে তো আমরা লা লিগার মাঝামাঝিতে ছিলাম। তাই মৌসুম শেষ হতে বিলম্ব হলো।’
সে যাইহোক, অন্তত আর একটি বছর হলেও তো ক্ষুদে জাদুকরকে প্রিয় ক্লাব বার্সার জার্সিতেই দেখতে পাবেন সমর্থকরা। এটাই বা কম কিসে!
Discussion about this post