খেলাধূলা ডেস্ক
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে এইবারকে ৩-১ গোল হারিয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে রিয়াল। শীর্ষে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও। তবে দিয়েগো সিমিওনের দল গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে। এমনকি ম্যাচও খেলেছে কম। অন্যদিকে রিয়ালের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার বার্সেলোনা।
এইবারের মাঠে রিয়ালের জয়ের মূল নায়ক বেনজেমা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে ওঠা প্রথমার্ধে অভিজ্ঞ ফরাসি স্ট্রাইকারই দলকে প্রথম এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দেন। পরে লুকা মদ্রিচ ও লুকাস ভাসকেসের গোলেও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কিকে গার্সিয়ার দুর্দান্ত প্রচেষ্টা এইবারকে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার আরও এক গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
ঘরের মাঠে এইবারও কম যায়নি। কিন্তু বেশকিছু সুযোগ তারা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অন্তত ড্র করার স্বপ্ন পূর্ণ হয়নি। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ভাসকেসকে দিয়ে গোল করিয়ে এইবারের সব প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেন বেনজেমা।
বেনজেমা ম্যাজিকেই প্রথমার্ধের মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে স্কোর লাইন ২-০ করে ফেলে রিয়াল। খেলার মাত্র ষষ্ঠ মিনিটে রদ্রিগোর স্কুপ পাস ধরে প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিয়ে সহজেই নিশানা ভেদ করেন। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে এটা তার পঞ্চম গোল। এরপর ১৩তম মিনিটে এইবারের বক্সে কেভিন রদ্রিগেসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে মদ্রিচের কাছে কাটব্যাক করেন তিনি। ক্রোয়েট মিডফিল্ডার দারুণ সুযোগ হেলায় নষ্ট করেননি।
প্রথমার্ধে আরও একবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন বেনজেমা। কিন্তু তার প্রচেষ্টা বিফল হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই একটা গোল শোধ করে দেয় এইবার। ২৫ গজ দূর থেকে গার্সিয়ার বুলেট গতির শট ঠেকানোর সাধ্য ছিল না রিয়াল গোলরক্ষক থিবাউ কুর্তোয়ার। এরপর অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০ মিনিটে দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এইবারের তাকাশি ইনুই এবং ইয়োশিনোরি মুতো।
খেলার একদম শেষদিকে এইবারের সমতায় ফেরার দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করে দেন রিয়াল ডিফেন্ডার রামোস। এর ঠিক সঙ্গে সঙ্গেই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আসে রিয়াল এবং বেনজেমারসঙ্গে ওয়ান-টু খেলে এইবার গোলরক্ষক দিমিত্রোভিচকে বোকা বানিয়ে দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যভেদ করে খেলার ফলাফল নিশ্চিত করে দেন ভাসকেস।
Discussion about this post