খেলাধূলা ডেস্ক
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের শুরুতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন সাকিব আল হাসান। এরপর লম্বা বিরতি। প্রায় ১৬ মাস পর আবারও টেস্ট খেলতে নামলেন। স্বাভাবকিভাবেই তার কাছে প্রত্যাশার মাত্রাটা একটু বেশিই। সেই প্রত্যাশা পূরণ করতেই যেন হাফ সেঞ্চুরিটা করলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পর কিছুটা অধৈর্য হযে ওঠার খেসারত দিতে হলো তাকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে। ব্যক্তিগত ৬৮ রানের মাথায় ১৪০ কেজি ওজনের ক্যারিবীয় বোলার রাকিম কর্নওয়ালের বলে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের হাতে। অফস্ট্যাম্পের ওপর থাকা বলটি কাট করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন পয়েন্টে। ব্র্যাথওয়েট অনায়াসেই বলটি তালুবন্দী করে নেন। ক্যারিয়ারে এটা সাকিবের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি।
এর আগে দিনের শুরুতেই উইকেট হারিয়েছিলেন লিটন দাস। ৩৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন তিনি। সঙ্গী সাকিব আল হাসান। তার নামের পাশে ছিল ৩৯ রান। দলীয় রান ২৪২। জুটি ৪৯ রানের। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সাকিব-লিটনের কাছ থেকে আরও বেশি দৃঢ়তার আশায় টিভির সামনে খেলা দেখতে বসেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কিন্তু যারপরনাই হতাশই হতে হলো বাংলাদেশের দর্শকদের। কারণ নিজের নামের পাশে ৪ এবং দলীয় ইনিংসের সঙ্গে মোট ৬ রান যুক্ত হওয়ার পরই বিদায় নিলেন লিটন দাস।
অর্থ্যাৎ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সূচনাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেই শুরু করতে হলো বাংলাদেশকে। বোলার ছিলেন আগের দিনের সফল জোমেল ওয়ারিকান। তার বলে ব্যাকফুটে গিয়ে পয়েন্টের পাশ দিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু পুরোপুরি পরাস্ত হলেন। বল গিয়ে সোজা আঘাত হাতে অফ স্ট্যাম্পে।
এর আগে প্রথমদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পুরো দিনটাই ভুল বোঝাবুঝিতে কাটিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত সেট হতে গিয়েও রানআউটে কাটা পড়েন। তামিম বোল্ড হলেন। সাদমান হাফ সেঞ্চুরি করার পর আর টিকতে পারেননি। মুমিনুল এবং মুশফিকের কাছ থেকে আরও বড় ইনিংস আশা করেছিল সবাই। কিন্তু তারা হতাশ করেছিলেন।
শেষ পর্যন্দ দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান। সাদমান করেছিলেন ৫৯ রান। মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬ এবং শান্ত করেন ২৫ রান।
Discussion about this post