চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগের ম্যাচ গত রাতে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল চেলসি। ম্যাচটা আতলেতিকোর ‘হোম’ ম্যাচ হলেও আয়োজিত হয়েছিল রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টের অ্যারেনা ন্যাশিওনালা মাঠে। আতলেতিকোর আর্জেন্টাইন কোচ ডিয়েগো সিমিওনেকে কৌশলের খেলায় পর্যুদস্ত করে মহামূল্যবান এক অ্যাওয়ে গোল নিয়ে লন্ডনে ফিরেছেন চেলসির জার্মান কোচ টমাস টুখেল। গোল করে চেলসিকে মহার্ঘ্য এই জয় এনে দিয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু।
যথারীতি ৪-৪-২ ছকে মাঠে নেমেছিল আতলেতিকো। কাগজে-কলমে ৪-৪-২ দেখানো হলেও রক্ষণভাগে মারিও হার্মোসো, ফেলিপে ও স্তেফান সাভিচের মতো তিনজন সেন্টারব্যাক উপস্থিতি ছকটাকে প্রায় সময়েই ৩-৫-২ করে দিচ্ছিল, যেখানে দুই উইংব্যাক হিসেবে খেলছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মার্কোস ইয়োরেন্তে ও ফরাসি উইঙ্গার টমাস লেমার। ওপরে লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে আক্রমণসঙ্গী হয়েছিলেন পর্তুগিজ আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার জোয়াও ফেলিক্স। ওদিকে সিমিওনের কৌশলকে হারানোর জন্য টুখেল কাগজে-কলমে ৪-৩-৩ ছকে নামলেও প্রায় সময় সে ছকটাও আতলেতিকোর মতো ৩-৫-২ কিংবা ৩-৪-৩ এ রূপ নিচ্ছিল। যেখানে সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলেছেন সেজার আজপিলিকুয়েতা, আন্তোনিও রুডিগার ও আন্দ্রেয়া ক্রিশ্চিয়ানসেন; দুই উইংব্যাক হিসেবে মার্কোস আলোনসো ও ক্যালাম হাডসন-অদয়। আক্রমণভাগে জিরুকে সামনে রেখে একটু নিচে নেমে বাঁ দিকে খেলছিলেন জার্মান স্ট্রাইকার টিমো ভেরনার।
প্রথমে অফসাইডের কারণে গোলটা বাতিল বলা হলেও শেষে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে প্রাপ্য গোলটা বুঝে নেয় চেলসি। পরে খেলোয়াড়-বদল করেও নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারেনি আতলেতিকো।
Discussion about this post