মায়ের চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য ক্রিকেটে ফিরতে চেয়ে আকুতি জানিয়েছেন টাইগার পেসার শাহাদত হোসেন।
আরাফাত সানি জুনিয়রকে মারধরের অভিযোগে ২০১৯ সালে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় টাইগার পেসার শাহাদত হোসেনকে, এরপর কেটে গেছে প্রায় ১৫ মাস সময়। শেষ ২ বছর স্থগিতাদেশ নিষেধাজ্ঞা থাকায় আরও ১৫ মাস তাকে মাঠের বাহিরে থাকতে হবে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে শাস্তি মওকুফ চেয়ে লিখিত আবেদন করেন ডানহাতি পেসার শাহাদত হোসেন। কারণ হিসেবে চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টিই উল্লেখ করেছেন তিনি, জানিয়েছেন মায়ের চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য ক্রিকেটে ফেরার কোন বিকল্প নেই তার কাছে।
শাহাদতের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিসিবির ভাবনা কি সেটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তিনি বলেন, “এটি সত্যি যে আমরা রাজীবের আবেদন পেয়েছি। কিন্তু তার শাস্তি মওকুফের বিষয়ে একার সিদ্ধান্ত হতে পারে না। যে কারণে এরই মধ্যে তার আবেদন আমরা নীতি-নির্ধারণী মহলে পাঠিয়ে দিয়েছি, বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি এটি পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যদি তারা মনে করেন যে শাস্তি কমানো উচিত তারা সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিবেন।”
আবেদন করেই অনুমতি ছাড়াই মিরপুরে অনুশীলন করতে গিয়ে ফেরত আসতে হয়েছে শাহাদত হোসেনকে, নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনুমতি ছাড়া অনুশীলনের কোন সুযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। সেই সাথে বিসিবির সিকিউরিটি বিভাগকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শাহাদতকে যেন আর মাঠে ঢুকতে দেওয়া না হয়।
Discussion about this post