‘সর্বশেষ ২০১৪ সালে স্বাধীনতা কাপ জয়ের স্বাদ পাওয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এরপর আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ পায়নি। ধীরে ধীরে মাঠের পার্ফরমেন্সও মচকে পরেছে সাদা-কালোদের। যে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লীগ জয়ের দৌড়ে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতো সেই সাদা-কালো জার্সি ধারীরাই শেষ কয়েক বছরে লীগে অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে হা-হুতাশ করেছে। তবে দুঃসময় গুলাকে পাশ কাটিয়ে আবারো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সুদিন ফিরবেই বলে মনে করেন নব নির্বাচিত পরিচালক ও বর্তমান মোহামেডানের দল নেতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স।
নির্বাচনে জয় লাভের পর তিনি জানান,
” আমি বিশ্বাস করি নতুন কমিটির অধীনে মোহামেডান আবারো তার পুরোনো রুপে ফিরবে। আগামী মৌসুমেই আমরা শক্তিশালী দল গঠণ করে চ্যাম্পিয়ন ফাইট দিবো। ইতিমধ্যে আমরা ক্যামেরুনের এক ফুটবলারের সাথে চুক্তি করেছি যে চলতি লীগের দ্বিতীয় লেগেই দলের সাথে যোগ দিবে।”
২০১৯ সালের ক্যাসিনো কান্ডে বিপর্যস্ত হওয়ার পর সাবেক কয়েকজন ফুটবলারকে সাথে নিয়ে মোহামেডানকে হাল ধরার চেস্টা করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন ভাবে ক্লাবের স্পন্সর, অনুশীলন মাঠ সহ যাবতীয় দেখ ভালের কাজ তার মাধ্যমেই হয়েছে। যার ফলে নির্বাচনে ভোটাররাও তাকে নির্বাচিত করে এর প্রতিদান দিয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।
দীর্ঘ কয়েক বছর পর অনুষ্ঠিত হলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন। যেখানে সভাপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক সেনা প্রধান মোঃ আব্দুল মুবীন। এছাড়াও পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ১৬ জন, যার অধিকাংশই মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক ফুটবলার,সংগঠকরা। নির্বাচিত পরিচালকদের প্রত্যাশা মোহামেডান ক্লাব দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আবারো পরাশক্তি হয়ে উঠবে। শুধু ফুটবল নয়, ক্রিকেট, হকি সহ সব ইভেন্টেই মোহামেডানকে দেখা যাবে।
শনিবার সকাল থেকেই উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় হোটেল লা মেরিডিয়ানে। সকাল ১০ টায় ক্লাবের ৩য় বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মোট ১১৫ জন। এরপর দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলতে থাকে ভোট গ্রহণ।
Discussion about this post