১৯৭২ সাল থেকে শুরু হওয়া স্বাধীনতা কাপ এখন পর্যন্ত মাঠে গড়িয়েছে মাত্র দশ বার। দেশের ফুটবলে অনিমিয়ত এই লীগ সর্বশেষ হয়েছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমে। যেখানে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম বারের মত স্বাধীনতা কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। টুর্নামেন্টে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সর্বশেষ এই ট্রফি জিতেছিল ২০১৪ সালে। অন্যদিকে ১৯৯০ সালে প্রথম ও সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী লিমিটেড ঢাকা।
২০১৯-২০ মৌসুমে করোনা মহামারির কারণে স্বাধীনতা কাপ মাঠে না গড়ালেও এক মৌসুম বিরতি দিয়ে চলমান লীগ শেষেই এগারো তম আসর মাঠে গড়াচ্ছে। এবারের টুর্নামেন্টে সর্বমোট ১৭টি দল অংশগ্রহণ করবে। চলমান লীগে অংশগ্রহণ করা ১৩ দল সহ বিভিন্ন জেলা ও সার্ভিসেস টিম থেকে বাছাইপর্ব পার করে আসা আরও চারটি দল অংশগ্রহণ করবে। চলমান প্রিমিয়ার লীগের শেষের দিকে জেলা ও সার্ভিসেস দল গুলো নিয়ে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এরপর প্রিমিয়ার লীগ শেষেই মাঠে গড়াবে স্বাধীনতা কাপ টুর্নামেন্টর মূল পর্ব।
বাফুফে ভবনে পেশাদার লীগ কমিটির এক বৈঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লীগ কমিটির চেয়ারম্যান জনাব আব্দুস সালাম মুর্শেদি। ২০১৭-১৮ মৌসুমের স্বাধীনতা কাপে শুধু মাত্র দেশি ফুটবলাররা অংশগ্রহণ করেছিলো। এবারো কি শুধু মাত্র দেশিরাই অংশগ্রহণ করবে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
“এবারের টুর্নামেন্টে দেশি-বিদেশী সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবে। কেননা ক্লাব গুলার বাজেটে বিদেশীরাও অন্তভূক্ত থাকে।”
এবারই প্রথম এতগুলো দল নিয়ে স্বাধীনতা কাপ আয়োজিত হতে যাচ্ছে। কেন এবং কি কারণে এত দল অংশগ্রহণ করছে এ ব্যাপারে আব্দুস সালাম মুর্শেদি বলেন,
“আমরা চাই টুর্নামেন্টটি আরও সার্বিক ও অংশগ্রহণ মূলক ভাবে হোক। এ কারণেই জেলা ও সার্ভিসেস দল গুলো বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করবে এবং এখান থেকে মিনিমাম চারটি দল মূল পর্বে অংশগ্রহণ করবে।”
Discussion about this post