খেলাধুলা ডেস্ক
এই গ্রীষ্মে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছে নিউজিল্যান্ড। সাদা বল কিংবা লাল, কোনো সংস্করণেই হারেননি কেন উইলিয়ামসনরা। এবার নিজেদের আঙ্গিনায় বাংলাদেশকে পাচ্ছে তারা।নিজেদের মাটিতে জয়ের ধারায় থাকা কিউইদের চোখ এখন তামিম ইকবাল-মাহমুদউল্লাহদের দিকে। নিশ্চিত করেই এই সিরিজ জেতার কোনো বিকল্প ভাবছেন না তারা।
এই তো কদিন আগেই অস্ট্রেলিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড বলেছেন, তাদের চোখ বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশও জানে সেটি। তবে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত নিউজিল্যান্ডের দাপটে উড়ে যেতে রাজি নন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। উল্টো আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের বার্তাই দিয়ে রাখলেন তিনি।
আজ ক্রাইস্টচার্চ থেকে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, তিনি নিউজিল্যান্ডের শক্তিমত্তা মাথায় রাখতে চান না।
বরং তিনি মনোযোগী হতে চান নিজেদের ব্যাপারেই, ‘হয়তো নিউজিল্যান্ড দল এখন খুব ভালো ফর্মে আছে। তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। এ জিনিসগুলো মাথায় না এনে বরং আমরা আমাদের শক্তি এবং দুর্বলতাগুলোর দিকে যদি মনোযোগ দিতে পারি, তাহলে আমাদের খেলার জন্যও ভালো হবে। আমি মনে করি আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার মন-মানসিকতা থাকলে ইনশা আল্লাহ ভালো করব।’
২০ মার্চ তিন ম্যাচের ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বৈরথ।
মূল লড়াইয়ের আগে তামিম-মাহমুদউল্লাহদের প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা অনুশীলন করতে পারছি। এখানে সুযোগ-সুবিধা দারুণ। উইকেটগুলোও খুব ভালো। খুব ভালো অনুশীলন হচ্ছে। যে দুই ঘণ্টা সময় পাচ্ছি, আমরা নিশ্চিত করছি যেন সময়টার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারি। আমাদের দক্ষতার অনুশীলন, দৌড় বা ফিটনেসের কাজ যদি থাকে, সেগুলো ওই সময়টাতে করছি। উপভোগ করছি।’
করোনার এই সময় নিউজিল্যান্ডে গেছে বাংলাদেশ। থাকতে হচ্ছে কোয়ারেন্টিনে। ১০ মার্চ কোয়ারেন্টিন শেষ হবে। মাহমুদউল্লাহ অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার, ‘আর দুটি দিন কোয়ারেন্টিন আছে। ইনশা আল্লাহ দোয়া করছি যেন আমাদের সবার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। তারপর আমরা বাইরে যাব ইনশা আল্লাহ।’
Discussion about this post