খেলাধুলা ডেস্ক
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ছয় থেকেই নেমে গিয়েছিল চেলসি। নতুন কোচ থমাস টুখেলের অধীনে সেই চেলসিই যেন হারতে ভুলে গেছে। তার অধীনে খেলে শেষ ১১ ম্যাচ ধরে অপরাজিত দলটি। যার শেষটি এসেছে এভারটনের বিপক্ষে, জিতেছে ২-০ গোলে।
গত ডিসেম্বরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের প্রথম দেখায় এভারটনের মাঠে ১-০ গোলে হারের বিস্বাদ নিয়েছিল ছয়বারের শিরোপাজয়ীরা। কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তির এভারটন অবশ্য মঙ্গলবার রাতের ম্যাচেও চেলসিকে খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছিল না। সহজাত বলের দখলটা ধরে রাখলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন থমাস টুখেলের শিষ্যরা।
তবে ম্যাচের অচলাবস্থা ভাঙে ৩১ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত থেকে মার্কোস আলনসোর ক্রসে ফ্লিক করেন কাই হ্যাভার্টজ। সেটা প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার বেন গডফ্রের পা ছুঁয়ে জড়ায় সফরকারীদের জালে। প্রথম গোলে প্রত্যক্ষ অবদান রাখার দশ মিনিট পর আলনসো নিজেই গোলের দেখা পেয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তার দারুণ চেষ্টা রুখে দেন এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
বিরতির আগে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করেছিল সফরকারীরাও। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে করা আন্দ্রে গোমেজের শট রুখে দিয়ে এভারটনকে গোলবঞ্চিত রাখেন এদুয়ার্দ মন্ডি। ফলে চেলসি বিরতিতে যায় ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে।
৬৫ মিনিটে হ্যাভার্টজ প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে গোল করে চেলসিকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন জর্জিনিও। এর কিছু আগে অবশ্য আরো একবার প্রতিপক্ষ জালে বল জড়িয়েছিল ব্লুজরা। কিন্তু ক্যালম হাডসন-অডইয়ের ক্রস নিয়ন্ত্রনে নেওয়ার সময় বল লাগে হাতে, তাই হ্যাভার্টজের চেষ্টাটা ফল পায়নি কোনো।
ম্যাচের শেষদিকে অবশ্য দারুণ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিল চেলসি। কিন্তু গোলরক্ষক পিকফোর্ডের দৃঢ়তায় আর কোনো গোল হজম করেনি এভারটন। ফলে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ২-০ গোলের জয় নিয়ে।
এই জয়ের ফলে ২৮ ম্যাচ শেষে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চারে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে চেলসি। তিনে থাকা লেস্টারের চেয়ে তিন পয়েন্টে পিছিয়ে আছে তারা। এভারটন ম্যাচ একটা কম খেলেছে, ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে ঠিক চেলসির পরেই। ২৮ ম্যাচ থেকে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে অবশ্য তালিকার শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থান দখলে রেখেছে তাদের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেড।
Discussion about this post