খেলাধুলা ডেস্ক
মঙ্গলবার এই টুর্নামেন্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাফুফে। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে নিয়েই নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
১৩ মার্চ হবে ফুটবলারদের রিপোর্টিং। এরপর প্রথম করোনা পরীক্ষার পর ১৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হবে প্রাথমিক দলে থাকা ফুটবলারদের।
২৪ জনের দলের নতুন মুখ পাঁচজন। এরমধ্যে চার জনই ডিফেন্ডার- কিংসের রিমন হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের মেহেদী, ইমন ও মোহামেডানের হাবিবুর রহমান সোহাগ। নতুন ডাক পাওয়াদের মধ্যে একমাত্র ফরোয়ার্ড হলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের মেহেদী।
জেমির ২৪ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সাতজন বসুন্ধরা কিংস থেকে। ঢাকা আবাহনী ও সাইফ স্পোর্টিং থেকে চার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে তিন, শেখ রাসেল ও চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে দুই জন করে, উত্তর বারিধারা ও মোহামেডান থেকে একজন করে ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। প্রিমিয়ার লিগের ১৩ ক্লাবের মধ্যে আট ক্লাবের ফুটবলার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন।
২৩ মার্চ নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট শুরু হবে। বাংলাদেশ দলের নেপাল যাত্রার সম্ভাব্য তারিখ ১৮ মার্চ। ১৩ মার্চ ২৪ জন ফুটবলার রিপোর্ট করবেন। কোভিড পরীক্ষার পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু হবে জাতীয় দলের। জাতীয় দলে ২৪ জন ডাক পাওয়ার সাথে সাতজন রয়েছেন স্ট্যান্ডবাই। এই সাত জন অনুর্ধ্ব ২৩ দলের। এই সাত জন সম্পর্কে কোচ জেমি ডে বলেন, ‘নেপাল যাবে ২৪ জনই। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ফুটবলারদের অভিজ্ঞতা বাড়াতে সাতজন রাখা। তারা এখানে কয়েকদিন অনুশীলন করবে। ২৪ জনের মধ্যে কেউ ইনজুরি বা কোভিড হলে সেক্ষেত্রে স্ট্যান্ডবাই থেকে ডাকা হবে’।
নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের জন্য ২৪ সদস্যের দল-
গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, আশরাফুল রানা, শহিদুল ইসলাম সোহেল
ডিফেন্ডার: বিশ্বনাথ ঘোষ, রিমন, টুটুল হোসেন বাদশা, রহমত মিয়া, ইয়াসিন আরাফাত, ইমন, মেহেদী হাসান, সোহাগ
মিডফিল্ডার: মানিক মোল্লা, জামাল ভূঁইয়া, মাসুক মিয়া, রাকিব, বিপলু, সাদ উদ্দিন, জনি, সোহেল রানা
ফরোয়ার্ড: সুমন রেজা, মেহেদী হাসান, সুফিল, মতিন মিয়া।
অনূর্ধ্ব ২৩ এর সাত জন স্ট্যান্ডবাই হলেন– গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, ডিফেন্ডার: আতিকুজ্জামান মিডফিল্ডার: আবু সাঈদ, রহিম উদ্দিন, হাসান রিমন, আহমেদ ফাহিম ও ফরোয়ার্ড: মোহাম্মদ জুয়েল।
Discussion about this post