খেলাধুলা ডেস্ক
রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মাঠে নামছে ইতালিয়ান জায়ান্ট জুভেন্টাস। তুরিনোর বুড়িদের মাঠে রাত দুইটায় পোর্তোর মুখোমুখি হবে প্রতিযোগিতার দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
শেষ ষোলোর প্রথম লেগেই পোর্তোর মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল আন্দ্রে পিরলোর দল। তাই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হলে অন্তত ১-০ গোলে জিততে হবে জুভেন্টাসকে। যদিও পোর্তোর মাঠে ফেডরিক কেইসার মূল্যবান একমাত্র অ্যাওয়ে গোলটি কিছুটা স্বস্তি দিবে রোনালদোদের।
ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে পোর্তোর বিপক্ষে সর্বশেষ দু ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে জুভেন্টাস। ২০০১ সালে ৩-১ গোলে জয়ের পর ২০১৭ সালেও পর্তুগিজ ক্লাবটির বিপক্ষে অ্যালয়েঞ্জ স্টোডিয়ামে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। চলতি আসরে জুভেন্টাসের বিপক্ষে নিজেদের ঘরের মাঠে জয়টি পোর্তোর ইতিহাসের প্রথম জয়। এর আগে ইউরোপ সেরার মঞ্চে তুরিনোর বুড়িদের বিপক্ষে ৫বারের দেখায় ৪বারই হারের মুখ দেখে পর্তুগিজ ড্রাগনসরা।
ঘরের মাঠে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বশেষ ১২টি নক আউট পর্বের ম্যাচে মাত্র দুবার হেরেছে জুভেন্টাস । দুর্ভাগ্যবশত দুবারই আসর থেকে ছিটকে পড়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৭-১৮ মৌসুমে রোনালদোর রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে হার। ২০১৮-১৯ মৌসুমেও আয়ক্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হেরে ছিটকে গিয়েছিল জুভেন্টাস।
কারণটা অবশ্যই গত কয়েক ম্যাচে সিরি আ-তে জুভেন্টাসের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। স্পেৎসিয়াকে ৩-০ হারানোর পরে রবিবার রাতে লাৎসিওকেও ৩-১ হারিয়েছে পিরলোর শিষ্যরা, যে ম্যাচে দলের সেরা তারকা রোনালদো শুরু থেকে খেলাননি জুভেন্টাস ম্যানেজার। উদ্দেশ্য, তরতাজা রোনালদোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পোর্তোর বিরুদ্ধে যাতে পাওয়া যায়।
যে প্রসঙ্গে তিনি ম্যাচের পরে মজা করে বলেন, “ক্রিশ্চিয়ানো ইতোমধ্যেই ২০ গোল করে ফেলেছে সিরি-আ তে। বাকিদের গোল করতে হবে তো!” পরে যোগ করেন, “পরিকল্পনা করেই রোনালদোকে শুরুতে নামানো হয়নি। পোর্তোর বিরুদ্ধে তরতাজা অবস্থায় চাই ওকে।”
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সর্বাধিক শিরোপা জয়ী ও সর্বাধিক নক আউট স্টেজে গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর এই আসরে অবিশ্বাস্য কামব্যাক করার বেশকিছু দুর্দান্ত নজিরও রয়েছে। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরে টিকে থাকতে হলে ফের আবারও রোনালদোর উপরেই বাড়তি নজর রাখতে হবে আন্দ্রে পিরলোর দলকে।
চোট সারিয়ে ইতোমধ্যেই দলে ফিরেছেন লিয়োনার্দো বোনুচ্চি, হুয়ান কুয়াদ্রাদো, আর্থুর মেলো। আক্রমণ ভাগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গী হতে পারেন আলভারো মোরাতা। যার জোড়া গোলে গেল ম্যাচেই ল্যাজিওকে হারায় জুভেন্টাস। কিন্তু তার পরেও পাওলো দিবালা ও জর্জে কিয়েল্লিনি চোটের জন্য বাইরে থাকায় কিছুটা হলেও চিন্তা থাকছে পিরলোর। মঙ্গলবার পোর্তো যদি রক্ষণের সামনে ডিফেন্ডারদের ভিড় বাড়িয়ে গোলের দরজা বন্ধ করে রাখে?
উত্তরে জয়ের জন্য মরিয়া জুভেন্টাস কোচ আন্দ্রে পিরলো বলেছেন, “পোর্তো যদি ওদের রক্ষণের সামনে বাসও দাঁড় করিয়ে দেয়, তা হলে সেটাও অতিক্রম করতে হবে আমাদের। কারণ ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। এ ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা নেই। মঙ্গলবার আমাদের কোনও ভুল করা চলবে না।”
Discussion about this post