খেলাধুলা ডেস্ক
সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষিত হয় করোনার কারণে। আজ তৃতীয় ম্যাচেও লেগেছিল করোনার ধাক্কা। তবে সেটি মাঠে নয়, আর ম্যাচও পরিত্যক্ত হয়নি। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া এ ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। সেঞ্চুরি করলেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। পাঁচ ম্যাচের এই আনঅফিশিয়াল ওয়ানডে সিরিজে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সাইফ হাসানের দল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ২৫ বলে ৭ রান করে আউট হন রুহান প্রিটোরিয়াসে। খানিক বাদে দারুণ খেলতে থাকা আরেক ওপেনার জেমস ম্যাককালামকেও ফিরতে হয় রিটায়ার্ড হার্ড হয়ে। বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পায়ে টান লাগলে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ধীর হয়ে পড়ে সফরকারীদের ইনিংসও। হঠাৎ করেই যেন সেখানে বিস্ফোরণ ঘটান লুরকান টাকার। ৩৫ বলে ফিফটি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৮২ রানে। ৯ চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ বলে এই রান করেন তিনি। তবে তাকে আর কেউ সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি শেষদিকে।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান করে আয়ারল্যান্ড উলভস। বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের পক্ষে ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে তিন উইকেট পান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
আইরিশদের জবাব দিতে নেমে দারুণ খেলতে থাকেন অধিনায়ক সাইফ হাসান। তানজিদ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলিকে হারালেও অন্যপ্রান্তে নিজের মতো খেলতে থাকেন তিনি। তুলে নেন লিস্ট এ ক্যারিয়ারে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি। ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৫ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন ২ টেস্ট খেলা সাইফ।
বাকি কাজটা সারেন আগের ম্যাচের নায়ক শামীম পাটোয়ারি ও তৌহিদ হৃদয়। শামীম ২৫ বলে ৪৪ ও তৌহিদ হৃদয় ৪৪ বলে ৪৩ রান করলে ২৮ বল আগেই দলের জয় নিশ্চিত করেন।
Discussion about this post