সব ঠিক থাকলে চলতি বছর জুনে শ্রীলঙ্কায় শুরু হতে পারে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এ টুর্নামেন্ট। হার্শা ভোগলে অবশ্য সে সম্ভাবনাও দেখছেন না। এ বছর এশিয়া কাপ মাঠে গড়ানোর সুযোগ দেখছেন না ভারতের খ্যাতিমান এই ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক। তবে এর পেছনে করোনা মহামারি নয়, বরং ভারতের ব্যস্ত সূচিরই দায় দেখছেন ভোগলে।
ভারত এ বছর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে মাঠে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করবে। এশিয়া কাপ এ বছর অনুষ্ঠিত না হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ভারত জাতীয় দলের ব্যস্ততাকে দেখছেন ভোগলে। জুনে যে সময় এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার কথা, তখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ থেকে ২২ জুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বিরাট কোহলির ভারত ও কেইন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। শুধু তা-ই নয়, আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজও খেলবে বিরাট কোহলির দল। এশিয়া কাপ খেলবে কখন?
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এর আগেই জানিয়েছে, এশিয়া কাপে আবারও দ্বিতীয় সারির দল পাঠাতে পারে বিসিসিআই। বিরাট কোহলিকে ছাড়াই সর্বশেষ এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এবারও পূর্ণ শক্তির দল না পাঠানোর কথা ভাবছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কিছুদিন আগে জানায়, এখন পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, তাতে দ্বিতীয় সারির এক ভারতীয় দলকেই হয়তো দেখা যাবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায়। দ্বিতীয় সারির যে দলটাকে নেতৃত্ব দিতে পারেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
এদিকে হার্শা ভোগলে মনে করেন, টুর্নামেন্ট মাঠে না গড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি। ক্রিকবাজ ইউটিউব চ্যানেলে ভোগলে বলেন, ‘এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, কিন্তু আমার মনে হয় না এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল শেষ হবে ২২ জুন। কমপক্ষে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে ইংল্যান্ডে যেতে হবে ভারতীয় দলকে, কারণ ৪ আগস্ট প্রথম ম্যাচ। তাই এর মাঝে টি-টোয়েন্টি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কোনো যুক্তি নেই যদি ভারতকে ইংল্যান্ডে যেতে হয়।’
বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে ২২ জুন পর্যন্ত লন্ডনে থাকা একটি দলের পক্ষে সে মাসেরই শেষে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া কঠিন। কারণ, সব দেশেই ভ্রমণে কোয়ারেন্টিন পর্ব পার হতে হয় দলগুলোকে। আগস্টেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ শুরু হবে ভারতের। এই অবস্থায় জুনে একবার ইংল্যান্ডে গিয়ে শ্রীলঙ্কায় ফিরে এসে আবার ইংল্যান্ডে যাওয়ার ঝক্কি নিতে ভারত রাজি হবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।
দ্বিতীয় সারির দল পাঠানো নিয়ে বিসিসিআইয়ের বিশ্বস্ত এক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘কোনো সম্ভাবনা নেই (এশিয়া কাপে মূল দল পাঠানোর)। আমরা ইংল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতি নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে রাজি না। আর ক্রিকেটাররাও দুবার কোয়ারেন্টিনের মধ্যে যেতে পারে না। যদি এশিয়া কাপ হয়ই, ভারতের দ্বিতীয় দল পাঠানো ছাড়া উপায় নেই।’
Discussion about this post