নিজেদের শেষ চার ম্যাচেই গোল হজম না করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এসি মিলানের বিপক্ষে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল হজম করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করলো। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষে অতিরিক্ত দুই মিনিটের মাথায় এসি মিলানের হয়ে গোল করেন সিমোন জায়ের। ক্রুনিচের কর্ণার থেকে জোড়ালো হেডে বল জড়িয়ে উল্লাসে মাতায় এসি মিলানকে। প্রথম লেগে পূর্ণ তিন পয়েন্ট না পেলেও প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে একটি এ্যাওয়ে গোল নিশ্চিত এসি মিলানকে দ্বিতীয় লেগে এগিয়ে রাখবে।
শুরুর ১১ মিনিটেই দুই দুই বার গোল করেও এগিয়ে যেতে পারেনি এসি মিলান। একবার অফ সাইড ও আরেকবার ভিএআর হ্যান্ড বলের সিদ্ধান্ত দিলে হতাশ হতে হয় মিলানকে। যার শুরুটা হয়েছিলো ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই, মিলানের রাফায়েল লিয়াও গোল করলেও লাইন্স ম্যান অফ সাইডের ফ্লাগ তুলে গোল বাতিল করেন।
ম্যাচের ১১ মিনিটে আরো একবার হতাশ হতে হয় মিলান সমর্থকদের। ডিবক্সের মধ্য থেকে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করেন মিলানের কেসিয়ে কিন্তু ভলির আগে বল নিয়ন্ত্রণের সময় স্পষ্ট ভাবে বল হাতে লাগায় রেফারি হ্যান্ড বলের বাঁশি বাজান।
ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে দুই দলের আক্রমণের পরিমান তত বেড়েছে কিন্তু কোনো দলই গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। কখনো ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আবার কখনো প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের কআছে পরাস্ত হয়েছে দুই দলের আক্রমন ভাগের ফুটবলাররা।
প্রথমার্ধের বিরতি থেকে ফিরেই বাজিমাত করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় রেড ডেভিল শিবিরে উল্লাস বয়ে আনেন আইভরি কোস্টের উইঙ্গার আমাদ দিয়ালো। ব্রুনো ফার্নান্দেসের হাওয়ায় ভাসানো ক্রস ডি-বক্সের মধ্যে থেকে ব্যাক হেডে বল জালে জড়িয়ে রেড ডেভিলদের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পান এই তরুন উইঙ্গার।
এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে মিলান। কিন্তু জ্বালাতান ইব্রাহিমোভিচ, থিও হার্নান্দেজ, মারিও মানজুকিজকে ছাড়াই ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামা মিলান দুর্ভেদ্য সেই গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। কিন্তু ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে মিলানের হয়ে গোল করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখ থেকে হাসি কেড়ে নেন সিমোন জায়ের।
রাউন্ড অফ সিক্সটিনের দ্বিতীয় লেগে এসি মিলানের ঘরের মাঠ সান সিরোতে আগামী ১৯ তারিখ রাত দুইটায় মাঠে নামবে দু’দল।
Discussion about this post