খেলাধুলা ডেস্ক
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের ক্রীড়াঙ্গন উন্নয়নে নিয়েছিলেন বিভিন্ন পরিকল্পনা। খেলার উন্নতিতে তাঁর সিদ্ধান্তগুলোই আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সাফল্যের শিখরে। বঙ্গবন্ধু নিজেই ফুটবল খেলতেন। ওয়ান্ডার্স ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। স্বাধীনতার পরে দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে রেখেছেন অনস্বীকার্য অবদান।
আগামীকাল নেপালের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দেশ ছাড়ার আগে আজ (১৭ই মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ছিল জাতীয় দলের শেষ অনুশীলন পর্ব। শেষ দিনে সাংবাদিককে সামনে কথা বলতে এসে বঙ্গবন্ধু কে স্মরণ করলেন জাতীয় দলের ফুই ফুটবলার সোহেল রানা ও সুমন রেজা। দু’জনেরই লক্ষ্য নেপালের ত্রিদেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট জয় করে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা।
আবাহনী লিমিটেড ঢাকা ও জাতীয় দলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা বঙ্গবন্ধুকে মনে প্রাণে ধারণ করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন,
“একজন ফুটবলার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রয়েছে এবং অবশ্যই চেষ্টা করবো এই বিশেষ বছরে বঙ্গবন্ধুর জন্য এই টুর্নামেন্ট জয় করার।”
প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পর্বে করেছেন ৬ গোল, ছিলেন দেশী ফরোয়ার্ডদের সবার উপরে। হ্যাঁ, বলছি জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সুমন রেজার কথা। গত নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অভিষেক হয় এই স্ট্রাইকারের। লীগে দুর্দান্ত পার্ফরমেন্স করেই জায়গা করে নিয়েছেন ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের স্কোয়াডে। সুমন রেজারও চাওয়া বঙ্গবন্ধুর জন্য ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট জয় করে আসা। সুমন আরও বলেন,
“আসলে উনি তো জাতির পিতা, উনার জন্যই আজ আমরা গর্বিত, উনাকে অনেক অনেক সালাম। উনার প্রতি দোয়া ও ভালবাসা রইলো।”
আগামীকাল নেপালের উদ্দেশ্যে উড়াল দিবে বাংলাদেশ। এরপর ২৩ ও ২৭ মার্চ কীরগিস্তান অনুর্ধ্ব-২৩ ও নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
Discussion about this post