খেলাধুলা ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের প্রথম পর্ব শেষে ইংলিশ কোচ জেমি ডে যে তিনজন ফুটবলারের নাম বার বার উচ্চারণ করেছেন তাদের মধ্যে চিটাগাং আবাহনীর উইঙ্গার রাকিব হোসেন অন্যতম। নেপালে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের জন্য ইতোমধ্যে জেমি ডের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন বরিশালের এই ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ দল নেপালের উদ্দেশে রওনা হবে। বাংলাদেশ বিমানে রওনা হওয়ার ৭২ ঘন্টা আগে দলের সবার কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। এতে মিডফিল্ডার রাকিবের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এজন্য আজ শেষ দিনের অনুশীলনে ছিলেন না তিনি।
রাকিব পজিটিভ আসায় দলের মধ্যে খানিকটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ম্যানেজার ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, ‘তার মধ্যে কোনো উপসর্গ নেই। এরপরও তার পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আমরা পুনরায় পরীক্ষা করিয়েছি। আজ রাতে বা কাল সকালে রিপোর্ট আসবে। রাকিবের ভিসা, টিকিট সব করানো আছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর কোচ সিদ্ধান্ত নেবেন।’
স্ট্যান্ডবাই দল থেকে একমাত্র মোহাম্মদ জুয়েল ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। স্ট্যান্ডবাই আরো ছয় জন রয়েছেন। পুরো ৩১ জনেরই ভিসা করিয়েছে বাফুফে। ফলে কোচ জেমি ডের হাতে বিকল্প রয়েছে। সেই বিকল্প ব্যবহার করবে কি না এটা নিশ্চিত নন ম্যানেজার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ৩১ জন ফুটবলারের ভিসা করানো আছে। কোচ কিছু সময় নিচ্ছেন। আমাদের ম্যাচ ২৩ তারিখ। ২২ তারিখ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া যাবে। ফলে তার সাথেও আসার সুযোগ থাকছে।’
অন্য দিকে বাফুফের মেডিক্যাল কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আল ইমরান এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে বিষয়টি প্রথম জানলেন, ‘পজিটিভের বিষয়ে আমাকে এখনো ফেডারেশন থেকে কিছু জানায়নি। ফেডারেশন জানালে আমার পরামর্শ ও নির্দেশনা দেব।’
ডেপুটি চেয়ারম্যান আগে জানিয়েছিলেন কোনো ফুটবলার পজিটিভ হলে দলের সঙ্গে সফর করতে পারবেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেভাবে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রয়েছেন। ফুটবল দলকে সেভাবে রাখছে না ফুটবল ফেডারেশন। রাকিবের এই কোভিড পজিটিভ দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে কি না এটা নিয়ে গভীর সংশয় তৈরি হয়েছে।
Discussion about this post