খেলাধুলা ডেস্ক
গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় এক পা এগিয়ে রেখেছিল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। এবার দায়িত্ব ছিল, ঘরের মাঠে শুধু অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের জয় থামানো। ফিরতি লেগেও দারুণ জয় তুলে নিয়ে ৭ বছর পর প্রতিযোগিতার শেষ আট নিশ্চিত করেছে।
বুধবার রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় পরের রাউন্ডে উঠল স্বাগতিকরা। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠে অলভার জিরুডের গোলের পর এবার ঘরের মাঠে ব্লুজদের হয়ে গোল করেছেন হাকিম জিয়াখ ও এমারসন।
এই জয়ে ২০১৩-১৪ মৌসুমে হোসে মরিনহোর বিদায়ের ৭ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো চেলসি। এসময় টানা ৪ বার প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোয় উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল লন্ডনের ক্লাবটিকে।
এই যাত্রায় রেকর্ড গড়েছেন চেলসির নতুন কোচ টমাস টুখেলও। গত ২৭শে জানুয়ারি প্রচন্ড বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া অল ব্লুজদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও দলটির হয়ে অপরাজিত জার্মান এই কোচ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে ১৩ ম্যাচ অপরাজিত রইলো তারা, জয় ৯টি ও ড্র ৪টি। এসময় দলটি প্রতিপক্ষের জালে ১৫ গোল করে হজম করেছে ২টি। চেলসির ইতিহাসে নতুন কোচের হাত ধরে এটাই অপরাজেয় পথচলার রেকর্ড। আগে এই রেকর্ডটি ছিল ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপজয়ী কোচ কোচ ফিলিপ লুইস স্কোলারির। কিংবদন্তি এই কোচ চেলসির হয়ে প্রথম ১২ ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন।
মৌসুমের শুরুতেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে। তাই ম্যাচ হারলেও প্রতিপক্ষের কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি ক্লাবটিরও কোচ। ম্যাচ শেষে দিয়েগো সিমেওনি জানান, “উভয় লেগেই তারা আমাদের চেয়ে ভালো দল ছিল। তারা দুই ম্যাচে আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছেও বটে। অবশ্যই এই জয় তাদের প্রাপ্য।”
সারা মাঠে দাপিয়ে বেড়িয়ে দারুণ এই জয় নিজেদের প্রাপ্য বলে মনে করেন চেলসি কোচও। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টমাস টুখেল বলেন, “খুবই ভাল পারফরম্যান্স। অবিশ্বাস্য একটি দলীয় প্রচেষ্টা। মাঠের ছেলেরা থেকে, বেঞ্চের ছেলেরা এবং এমনকি স্ট্যান্ডের ছেলেরাও। আমরা পেরেছি এবং এটি প্রাপ্য। এটা আমাদের জন্য বড় জয়।”
Discussion about this post