খেলাধুলা ডেস্ক
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঠিকই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার পথে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। ল্যাজিওর বিপক্ষে শেষ ষোলর ফিরতি লড়াইয়েও পেয়েছে ২-১ ব্যবধানের জয়, ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ গোলে জিতে অনেক রেকর্ড গড়ে উঠে গেছে প্রতিযোগিতার শেষ আটে।
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল বায়ার্ন। তাতে শেষ আটে এক পা প্রথম লেগেই দিয়ে ফেলেছিল কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। তবে শেষ কয়েক বছরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যেমনটা হচ্ছে, তাতে সন্দেহটা কাটানো জরুরী ছিল দলটির।
সে লক্ষ্যেই শুরু থেকে বলের দখলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। ১২ মিনিটে আসে প্রথম সুযোগটা। তবে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় একজনকে দারুণ ড্রিবলে ছিটকে লেরয় সানের করা শটটা বেরিয়ে যায় পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে।
মিনিট দুয়েক পর পর সুযোগ আসে সফরকারী ল্যাজিওর সামনেও। তবে সের্জেই মিলিঙ্কোভিচ-স্যাভিচ তার সতীর্থ লুইস আলবার্তোর ক্রসে ঠিকঠাক মাথাই ছোঁয়াতে পারেননি। ৩২ মিনিটে প্রতিপক্ষ বক্সে ফাউলের শিকার হন বায়ার্নের লিওন গোরেৎস্কা। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে পোলিশ স্ট্রাইকার লেভান্ডভস্কির ৩৯তম গোলের সুবাদে লড়াইয়ের সব অনিশ্চয়তা দূর হয়ে যায় তখনই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ছয় গজের বক্স থেকে তার শট ফেরান ল্যাজিও গোলরক্ষক পেপে রেইনা। আর ৬৭ মিনিটে তার বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট।
এরপরই তাকে তুলে এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিংকে নামান কোচ ফ্লিক। সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ডের গোলেই ৭২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বায়ার্ন। ডেভিড আলাবার পাস থেকে পাওয়া বলটা প্রথম ছোঁয়াতেই ল্যাজিওর জালে পাঠান তিনি। ৮২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ভেসে আসা বলে পারোলোর দারুণ এক হেডারে গোল পায় ল্যাজিও। তবে ইতালিয়ান মিডফিল্ডারের গোলটি ব্যবধানই কমাতে পেরেছে কেবল। দুই লেগে ৪-১ আর ২-১ গোলের দুই জয়ের ফলে সহজেই শেষ আট নিশ্চিত করে বায়ার্ন।
এ নিয়ে ১৯তম বারের মতো শেষ আটে খেলছে বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার কীর্তি নেই আর কারো। কোচ ফ্লিকও করেছেন রেকর্ড। নিজের প্রথম সাত নক আউট ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন জয়। কোচিং জীবনের শুরুতেই এমন কীর্তি আর গড়তে পারেননি কেউ। নিজেদের সেরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যাত্রার সঙ্গেও সমতায় চলে এসেছে দলটি, বর্তমানে ১৯ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে দলটি।
শেষ আটে যারা
বায়ার্ন, পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, চেলসি, পোর্তো ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
Discussion about this post