খেলাধুলা ডেস্ক
টি-টোয়েন্টিতে বড় জয়ে জিম্বাবুয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে ছেড়েছে আফগানিস্তান। আসগর আফগানদের বড় ইনিংসের জবাবে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ জিম্বাবুয়ে। ১৮৭ রান তাড়ায় নেমে তাদের ব্যাটিং ছিল সাদামাটা। রান চেজিংয়ের কোনো মনোভাব লক্ষ্য করা যায়নি। ৫ উইকেট হাতে রেখচে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করলেও তারা ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি। অপরাজিত ফিফটি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাজিবুল্লাহ জারদান।
জয়ের সঙ্গে সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়লেন আসগর আফগান। গত ম্যাচ জিতে তিনি সাবেক ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির ৪১ ম্যাচ জয়ের কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছিলেন। সে সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির ধারেকাছে ছিলেন শুধু ড্যারেন স্যামি। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ম্যাচে জয় পাওয়া ক্যারিবিয়ান তারকা ২০১৬ বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেন না। তাই আসগর আফগান ইতিহাস গড়ে ফেললেন।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে আফগানিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪২ রান। রহমতুল্লাহ গুরবাজ ২১ বলে ১৮ রান করলেও আরেক ওপেনার উসমান ঘানি ৩১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নেমে ঝড় তোলেন নজিবুল্লাহ জারদান। ৩৫ বলে ৫ চার ৫ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস। আসগর আফগান করেন ২৪ রান। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা মোহাম্মদ নবী (২), রশিদ খান (০), শরাফউদ্দিন (০) এবং হাসমতউল্লাহ শহিদি (০*) রান করেন। আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৮৩।
ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর ৩৭ রানের জুটি গড়েন মুসাকান্দা (৩০) আর অধিনায়ক সিন উইলিয়ামস (১৪)। এরপর থেকে রান চেজিংয়ের চেয়ে উইকেট রক্ষাতেই যেন বেশি মনযোগ দিচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানেরা। ২৯ বলে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সিকান্দার রাজা; যা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। এছাড়া রায়ান বুরিও ৩১ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলে থামে জিম্বাবুয়ে।
Discussion about this post