খেলাধূলা ডেস্ক
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলক আগেই স্পর্শ করেছেন । মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে নেমে নতুন আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০টি হাফসেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন তামিম।
মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড দল টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। মাঠে নেমে তামিম অপর প্রান্তে সতর্ক শুরুর পর মেরে খেলার চেষ্টায় থাকেন। বিশেষ করে অষ্টম ওভারে কিছু চার মেরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। প্রথম ওভারে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তামিম। তবে দ্বিতীয় ওভারে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লিটনকে।
কিছুটা ধীরস্থির ভাবে শুরু করলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে থাকেন তামিম। যদিও ৩৪ রানে আউট হয়ে যেতে পারতেন ড্যাশিং এই ওপেনার। ১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে কিউই পেসার জেমিসনকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছিলেন। সেই ক্যাচটি ক্রিকেটীয় আইন অনুযায়ী ঠিকমতো লুফে নিতে পারেননি জেমিসন, থার্ড আম্পায়ারের কল্যাণে দ্বিতীয় জীবন পান তিনি।
ব্যক্তিগত ৪৫ থেকে নার্ভাস তামিমকে দেখা গেছে। ৬৮ বলে ৪৫ রানে পৌঁছালেও হাফসেঞ্চুরি ছুঁতে তামিমকে খেলতে হয়েছে ৮৪ বল! মিচেল স্যান্টনারের ওভারে লং অনে বলটি ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নেন। আর তখনই হাফসেঞ্চুরির হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান তামিম। শেষ পর্যন্ত ১০৮ বলে ৭৮ রান করে রান আউটেরফাঁদে পড়ে সাজ করে ফিরেছেন তামিম।
৫০ হাফসেঞ্চুরির মধ্যে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ২৫টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ১৭টি হাফসেঞ্চুরি প্রতিপক্ষের মাঠে হলেও ৮টি হয়েছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
Discussion about this post