খেলাধুলা ডেস্ক
টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা পেয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, শেষদিনে চট্টগ্রামের বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান রানার বোলিংয়ের সামনে দাড়াতেই পারেনি রাজশাহী। ২২ তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে ৮৮ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
রাজশাহীর শহিদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে শেষদিনে জয়ের জন্য ১৩৬ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের, হাতে ছিল ৫ উইকেট। তবে মেহেদি হাসান রানার বোলিংয়ে নৈপূণ্যে শেষ ৩০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানেই থামে রাজশাহীর ইনিংস, ইঞ্জুরির কারণে ব্যাট করতে পারেননি আসাদুজ্জামান পায়েল।
রাজশাহীর আশা হয়েছিলেন ফিফটি পাওয়া জুনায়েদ সিদ্দিকী ও অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা, তবে ২৮ রানের বেশি এদিন আর তারা যোগ করতে পারেনি। দলীয় ১৬৪ রানে বিদায় নেন ২৫ রান করা ফরহাদ রেজা, তাকে আউট করে রাজশাহীর জয়ের আশায় ধাক্কা দেন মেহেদি হাসান রানা।
৩ রান করা প্রিতম কুমার ও ৫ রান করা শফিকুল ইসলামকে লেগ-বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মেহেদি, মাঝে তাইজুল ইসলামকে বোল্ড করেন মোহাম্মদ ইরফান। জুনায়েদ সিদ্দিকী ৬৮ রানে অপরাজিত থাকলেও ১৯৪ রানে শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ২৮৭ রান করেছিলো চট্টগ্রাম, জবাবে ১৫২ রানেই থেমে যায় রাজশাহীর ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামকে ১৪৭ রানে অল আউট করেও ২৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য পায় স্বাগতিকরা, যে লক্ষ্যটা আর পেরোনো হয়নি রাজশাহীর; চট্টগ্রান জয় পায় ৮৮ রানের। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহেদি হাসান রানা।
খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেট বিভাগকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ। বৃথা গেছে জাকির হাসানের ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, ৪ উইকেট পেয়েছেন আব্দুল হালিম।
তৃতীয় দিনশেষেই জয় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল খুলনার, তবে তাদের জন্য গলার কাটা হয়ে ছিল সেঞ্চুরিয়ান জাকির হাসান। তবে শেষ দিনে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ৫৮ রানের বেশি যোগ করতে পারেনি সিলেট বিভাগ, জাকির হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটি থেমেছে ১৪০ রানে।
অলক কাপালি ২৩ রানে আউট হলে ২৯ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে সিলেট, রেজাউর রহমান রাজা ১৪ রান করে রান আউট হয়ে ফিরেন। প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়া সিলেটের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ৩০৮ রানে, খুলনার সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬৮ রানের।
আব্দুল হালিম ৬২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন, ৩৬ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন মাঈনুল ইসলাম সোহেল।
৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রবিউল ইসলাম রবি শুরুতে ফিরলেও ইমরান উজ্জামান ২৬ বলে অপরাজিত ৩৩ ও ইমরুল কায়েসের ২০ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা, তুষার ইমরান ১ রানে অপরাজিত থাকেন, খালেদ আহমেদ ও রেজাউর রহমান ১ টি করে উইকেট নেন।
Discussion about this post