খেলাধুলা ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের সিমিং কন্ডিশনে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা কিউই পেস আক্রমণ। বিগত দুই ম্যাচেই যা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ব্যাটিংয়ে নেমে নতুন বলে ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, কাইল জামিসনদের বিপক্ষে হরহামেশাই টপ অর্ডারদের ধুকতে দেখা গেছে। কোন ব্যাটসম্যানই পাওয়ার প্লে’র সুবিধা শতভাগ আদায় করে নিতে পারেননি। যখনই উইকেটে সেট হতে গেছেন ফিরতে হয়েছে নিদারুণ হতাশা ভঙ্গের বেদনায়। সে কারণেই হয়ত শেষ ওয়ানডেকে সামনে রেখে শিষ্যদের দীক্ষা দিলেন ব্যাটিং কোচ জন লুইস।
তার মতে, যদি তামিমরা প্রথমে ব্যাটিং করতে যান, তাহলে অবশ্যই তাদের নতুন বল নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং এও খেয়াল রাখতে হবে যেন শুরুতেই ইনিংসে ধ্বস না নামে। আর রান তাড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাওয়ার প্লে সুযোগ শতভাগ আদায় করে নিতে হবে।
ওয়েলিংটন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন।
বলার অপেক্ষাই রাখে না, নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে দলের হতশ্রী ব্যাটিং। প্রথম ওয়ানডেতে টাইগাররা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৩১ রানে। ১৩২ রানের মামুলি লক্ষ্য টম ল্যাথামরা ছুয়ে ফেলেছে মাত্র ২ উইকেটের খরচায়।
দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিংয়ের অবস্থা খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না। তামিম ইকবালের ৭৮ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ৭৩ রানের ইনিংস বাদ দিলে বলার মত রান আর কোনো ব্যাটসম্যানই করতে পারেননি। সে কারণেই হয়তো কোচের এই পরামর্শ।
ক্রাইস্টচার্চে তামিম-মিঠুনের ব্যাটে ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ আসায় বল হাতে ঠিকই জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট। তাতে জয়ের সম্ভাবনাও জেগেছিল। কিন্তু শেষ অবধি তা সম্ভব হয়নি মুশফিকুর রহিম ও শেখ মেহেদির ক্যাচ মিসের মহড়ায়।
ওয়েলিংটনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ও তার দল যদি ব্যাটিং-বোলিং এর পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিতে পারেন, দ্বিতীয় ওয়ানডের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারেন তাহলে হয়তো লাল সবুজের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিনটি আরো বর্ণিল হবে। এবং হোয়াইটওয়াশের গ্লানিতেও পুড়তে হবে না।
দেখার অপেক্ষা টিম টাইগার্স সেটা করে দেখাতে পারেন কিনা।
Discussion about this post