খেলাধুলা ডেস্ক
বিশ্ব ক্রিকেটে যখন লেগ স্পিনারদের জয়জয়কার, তখন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটে নেই বোলারদের এই প্রজাতির কোনো ক্রিকেটার। যে কারণে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের তো মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে দিয়েও চেষ্টা করা হয়েছে লেগ স্পিনার হিসেবে খেলানোর জন্য।
কিন্তু লেগ স্পিনাররা যেখানে খেলে বড় হবে, নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে নেবে, সেই ঘরোয়া ক্রিকেটেই ব্রাত্য তারা। লেগ স্পিনার দলে নিতে না পারলেই যেন বাঁচে ঘরোয়া ক্রিকেটের দলগুলো। যে কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় কিছু করার সম্ভাবনা নিয়ে আসা জুবায়ের হোসেন লিখন এখন ঘরোয়া ক্রিকেটেও দল পান না।
শুধু লিখন একা নন, তরুণ লেগ স্পিনার মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি কিংবা রিশাদ হোসেনদের ক্ষেত্রেও দেখা যায় একই চিত্র। নিয়মিত ঘরোয়া পর্যায়ে খেলার সুযোগ পান না তারা। মাঝে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বাধ্যতামূলক লেগ স্পিনার খেলানোর নিয়ম করা হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে এটি।
এ বিষয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, কোনো দলকে বাধ্যবাধকতা দিয়ে দিলে সেটি খেলার মানে প্রভাব পড়তে পারে।
শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্জাক বলেছেন, ‘প্রথমত আমি যেটা বলব লেগ স্পিনারের ব্যাপারে… লেগ স্পিনার আসতে হবে, আমি লেগ স্পিনার বানিয়ে ফেলতে পারব না, আপনি লেগ স্পিনার বানিয়ে ফেলতে পারবেন না। একটা দলের কিন্তু প্রয়োজনীয়তা থাকে, প্রত্যেকটা দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যে খেলোয়াড় দিয়ে ভালো হবে, কাজ হবে, যাকে তাদের দলে নিলে সুবিধা হবে, দল জিততে সুবিধা হবে- এগুলো নিয়ে কাজ করে দলের ম্যানেজমেন্টগুলো। এখন ক্রিকেট বোর্ড থেকে যদি নিয়ম করে দেয়া হয় যে খেলাতেই হবে, তাহলে ক্রিকেটের মান কিছুটা হলেও সমস্যা হওয়ার কথা। তাই সেটা করা হবে না।’
তবে চেষ্টা ঠিকই চালিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক, ‘তবে চেষ্টা থাকবে এবং সেটার জন্য সবচেয়ে ভালো যে যারা তরুণ খেলোয়াড় আছে তাদের এখন থেকে আস্তে আস্তে… যেহেতু এটার অভাব আমরা অনুভব করতেছি। যদিও আমাদের লেগ স্পিনার কখনও জাতীয় দলে একদম একটানা ভালো খেলে যাচ্ছে, চলছে এরকম ছিল না।’
Discussion about this post