খেলাধুলা ডেস্ক
ওয়ানডে সিরিজটা কাটলো হতাশায়। অন্ততপক্ষে একটি ম্যাচ জিততে পারতো বাংলাদেশ, কিন্তু ভুরি ভুরি ক্যাচ ড্রপ আর ফিল্ডিং মিসে আশা জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা।
অনেক প্রশ্ন, সংশয় আর হতাশা কাটানোর মিশন নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাতটায়, নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে। নিউজিল্যান্ডে এখনো পর্যন্ত কোনো ফরম্যাটেই জয় না পাওয়া বাংলাদেশের জয় পেতে চোখ থাকবে এই ম্যাচেও।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছে নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে চলতি মাসের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ হারিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। তবে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর আছে প্রতিপক্ষ শিবির থেকে। আইপিএলের প্রস্তুতি নিতে এই সিরিজে থাকবেন না কেইন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্টসহ বেশ কয়েকজন তারকা।
বাংলাদেশও অবশ্য নিজেদের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। তবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে কখনোই বাংলাদেশের স্বস্তিদায়ক পারফরম্যান্স নেই। দলের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল না থাকায় ওই অস্বস্তি বাড়বে আরও।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অবশ্য বলছেন, ওয়ানডে সিরিজের ব্যর্থতার পরও জয়ের ক্ষুধা এখনো তীব্র তাদের। জয়ের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা উজার করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি শোনা গেল তার কণ্ঠে। জড়তা কাটিয়ে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার প্রতিশ্রুতিও দিলেন রিয়াদ।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা যদি কোনোরকম জড়তা (না নিয়ে) এবং ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারি, ফল আমাদের পক্ষে আনা সম্ভব। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের জয়ের ক্ষুধা এখনও তীব্র আছে এবং আমরা মুখিয়ে আছি। আশা করি, কালকে আমরা নিজেদের সেরাটা খেলতে পারব।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যে ‘শিক্ষা সফর’ নিয়ে সমালোচনা সবখানে। সেই শিক্ষা সফর যে এখনো শেষ হয়নি, সেটাই যেন আরেকবার মনে করিয়েছেন রিয়াদ। ওয়ানডে সিরিজের ভুলগুলো মাথায় রেখে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিয়াদ।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। তবে টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট দিনে যে কোনো কিছু হতে পারে। যে ভুলগুলি আমরা করেছি (ওয়ানডে সিরিজে), সেগুলি মাথায় রাখতে হবে। যেন আমরা সেখান থেকে শিখতে পারি। এবং ওই ফল যেন আমাদের এখানে প্রভাব ফেলতে না পারে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।’
Discussion about this post