খেলাধুলা ডেস্ক
নেপালিরা ফুটবল প্রিয় জাতি। জাতীয় দলের খেলা হলে দশরথে ‘নেপাল, নেপাল’ স্লোগানে মুখরিত হয়। স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ১২ হাজার দর্শকের সামনে খেলা বেশ কঠিন ব্যাপার। এমন চাপের মধ্যে জামালরা সাধারণত খেলেন না। ম্যাচের বাইরে দর্শকদের এই চাপ সামলাবেন কীভাবে এমন প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ জেমি বলেন, ‘আমার ফুটবলারদের চাপ নিতে বারণ করেছি। মাঠে উপভোগ করতে বলেছি।’
নেপালের অধিনায়ক কিরণ লিম্বু দর্শকদের এই সমর্থনকে নিজেদের বাড়তি শক্তি হিসেবে দেখছেন, ‘এটা আমাদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা। আমাদের সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণে সমর্থ হব।’ আগের ম্যাচে নেপাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছে। বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলেছে। নেপাল স্বাগতিক সমর্থন নিয়েও জিততে পারেনি।
অধিনায়ক কিরণ আগের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চান না, ‘আমার দলের ফুটবলারের ওপর বিশ্বাস রয়েছে। তারা ফাইনালে গোল করে দেশকে ট্রফি দিতে পারবে।’
বাংলাদেশ আগামীকাল নেপালের সমর্থকদের বাধা জয় করতে পারলে ২০০৩ সালের পর জাতীয় ফুটবল দলের বড় সাফল্য হবে। দেশের বাইরে বাংলাদেশের সর্বশেষ সাফল্য ১৯৯৯ সাফ গেমসের স্বর্ণ জয়। ২০০৩ সালের শুরুর দিকে ভূটানে আমন্ত্রিত টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলেও সেই টুর্নামেন্টে খেলেছিল বাফুফে একাদশ নামে।
Discussion about this post