খেলাধুলা ডেস্ক
ফাইনালে মূল একাদশ নিয়ে চমক দেখিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি। বড় মঞ্চে প্রথমেই অনবিজ্ঞ ডিফেন্ডার নামানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সঙ্গে মাঝমাঠে অভিজ্ঞদের উপেক্ষিত করাসহ জেমির কৌশল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন এই ইংলিশ টেকটিশিয়ান।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তুলে ধরেছেন ফাইনাল ম্যাচ হারার কারণ। ব্যাখ্যা করেছে নিজের কৌশল নিয়েও। সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
প্রশ্ন: মূল একাদশে সুফিল আর বাদশাকে না রাখার কারণ?
জেমি ডে: আমি আগেই বলেছি যে আমরা নেপালে যাচ্ছি নতুনদের সুযোগ করে দিতে। সবাই ভালো সময় কাটিয়েছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল ফাইনালে খেলা সেটি হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত ম্যাচটা জিততে পারি নাই। আমি চেয়েছিলাম যাতে সবাই খেলার যথেষ্ট সময় পাক।
প্রশ্ন: দলে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার থাকতে অনবিজ্ঞদের ফাইনালে মূল একাদশে রাখার যৌক্তিকতা কি?
নতুন প্লেয়াররা ফাইনাল খেলুক এটাই চেয়েছিলাম। তারা সম্ভবত নার্ভাস ছিল। ভয় পাচ্ছিল যদি মিসটেক হয়ে যায়। তারা যদি ক্লাবে তাদের পজিশনে খেলতে না পারে তাহলে এই সমস্যাটা থেকেই যাবে।
প্রশ্ন: মূল একাদশে পাঁচ জন ফরোয়ার্ড রেখেও প্রথমার্ধে গোল করতে না পারার কারণ…
আমি মনে করি এই সমস্যাটা কখনই কাটবে না। বাংলাদেশের ফুটবলের সিস্টেম বদলাতে হবে। এটা অনেকবার বলা হয়েছে। আমরা যদি লোকাল ফুটবলারদের সঠিক পজিশনে করে সুযোগ না দেই তাহলে এই সমস্যা কখনও দূর হবে না। প্লেয়ারদের আমরা দোষ দিতে পারি না। তারা জানবে না কোথায় দৌড়াতে হবে, কীভাবে ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলতে হবে। তারা কখনও লিগে এটা করতে পারে না।
প্রশ্ন: তাহলে কি বলবেন দেশের ফুটবলাররা গোল করতে জানে না?
গোল করার সবসময় একটা ইস্যু। আমরা সপ্তাহজুড়ে এই কথা বলতে পারি। আমি ও আমাদের কোচিং স্টাফ যেটা করতে পারি তাহলো খেলোয়াড়দের নিয়ে যথাসম্ভব কাজ করা। বলতে পারি কোথায় দৌড়াবা, কোথায় পাস দিবা, আমরা এটা করছি নিয়মিতভাবে। তাদের এই পজিশনে রেগুলার ব্যাসিস খেলতে দিতে হবে। আমি মাত্র এক বা দুই সপ্তাহে ফুটবলারদের হিউজ পরিবর্তন করতে পারব না।
প্রশ্ন: নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য কোথায়?
আপনি যদি দেখেন আমরা ফাইনালে চারজন বেস্ট স্কোরারকে খেলিয়েছি। বুঝতে হবে আন্তর্জাতিক লেভেল থেকে বিপিএল পিছিয়ে আছে। আমাদের সেই গ্যাপটা পূরণ করতে হবে। তাদের ঘরের মাঠে খেলতেছে। এবং টেকনিক্যালি তাদের প্লেয়ার আমাদের থেকে ভালো। আপনি চাইলেই ড্র করতে পারেন। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে ভালো দলগুলাই জিতবে, এটাই হয়ে থাকে। এটাই লজিক। নেপালের সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য নেই বাংলাদেশের।
প্রশ্ন: বারবার বলেছেন এই টুর্নামেন্ট আপনার জন্য নতুনদের পরীক্ষার টুর্নামেন্ট, প্রাপ্তি কী?
ফাইনালে হেরেছি। বাট আমরা দুইটা ম্যাচ ক্লিনশিট রাখতে পেরেছি। অর্জন হলো আমরা নতুন প্লেয়ারদের যথেষ্ট সময় দিতে পেরেছি। আমি এখন জানি ফুটবলাররা যথেষ্ট সময় পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা পেয়েছে। ওভারল তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। শুধু ফাইনালের ফার্স্ট হাফটা বাদে।
প্রশ্ন: বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাদের পছন্দ হলো, লক্ষ্য কী?
আমি ওদের নিয়ে কাতারে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে যাব। যদি ম্যাচগুলো বাংলাদেশে হতো তাহলে আমি কিছু পয়েন্ট পাওয়ার ভালো সুযোগ ছিল। তবে ছেড়ে দিব না। কাতারে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যাব। কিছু পয়েন্ট পেলে দুর্দান্ত হবে জার্নিটা। যদি নাহয় তাহলে হবে না। আমরা পরের প্রতিযোগিতার জন্য ট্রাই করব।
Discussion about this post