খেলাধুলা ডেস্ক
নিউজিল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দেশে ফিরে আসায় সবার মনে ধারণা জন্মেছিল, হয়তো কুড়ি ওভারের ক্রিকেটকেই বিদায় জানাবেন তামিম। তবে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, কোন ফরম্যাট থেকে অবসর নেবেন সেটা সময় এলেই জানা যাবে। যেকোনো এক ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের আভাস দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। এক ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে বাকি দুই ফরম্যাটে নিজের সেরাটা দেয়া পরিকল্পনা দেশসেরা এ ওপেনারের।
জনপ্রিয় ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজে এ বিষয়ে খোলাখুলি আলাপ করেছেন তামিম। তার বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হলো:
‘অবশ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমার মাথায় আছে। এটা তো এই ছয় মাস পরেই। আর আমার বয়সও এখন ৩৬-৩৭ না। তাহলে কেনো নয়? টি-টোয়েন্টি পুরোপুরি আমার চিন্তার বাইরে নয়। দেখুন, আমি যেভাবে নিজের ক্যারিয়ার সাজাতে চাই এবং যে পরিকল্পনাটা আছে আমার, আমি জানি যে কোন ফরম্যাট আগে ছাড়ব আর কোনটা পরে। আমার নিজের সব জানা আছে। আমার মনে হয় না সেটা সবার কাছে খুলে বলার দরকার আছে।’
‘আমার যখন মনে হবে যে, এই ফরম্যাট ছাড়লে অন্য দুই ফরম্যাটে ক্যারিয়ার লম্বা করতে পারব, তখন আর এই ফরম্যাটে নিজেকে টেনে নিবো না। আমার বার্তাটা পরিষ্কার। আমি বাংলাদেশের হয়ে যত বেশিদিন সম্ভব খেলতে চাই এবং নিজের সেরাটা দিতে চাই। আমি এক ফরম্যাট ছাড়তে চাই এ কারণে, যাতে অন্য দুই ফরম্যাটে সেরাটা দিতে পারি। বিষয়টা এমন না যে ক্লান্ত হয়ে পড়ায় টেস্ট ছেড়ে দেবো কিংবা টি-টোয়েন্টি খেলব না। সিদ্ধান্তটা নেবো যেন অন্য দুই ফরম্যাটে তা কাজে লাগাতে পারি।’
‘আমি যদি আরও ৫-৬ বছর খেলতে চাই, তাহলে তিন ফরম্যাটেই টেনে নেয়া খুব কঠিন হবে। সাধারণত বিশ্বের অন্যান্য খেলোয়াড়দের দেখবেন, তারা কিন্তু একসঙ্গে তিন ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে ফেলে না।’
‘তারা আগে যেকোনো একটা ফরম্যাট ছেড়ে দেয় এবং অন্য দুইটি খেলতে থাকে, পরে অবসর নেয়। আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমার ক্ষেত্রেও এমনই হবে। আমার যদি মনে হয় যে, ছয় মাস, এক বছর বা দুই বছর পর একটা ফরম্যাট ছেড়ে দেয়া ভালো হবে, আমি তাই করবো।’
‘আমি বলবো না সেটা কোন ফরম্যাট। যেমনটা বললাম, এটা ওয়ানডে, টেস্ট বা টি-টোয়েন্টির যেকোনোটাই হতে পারে। আমি সেই দুই ফরম্যাট খেলব যেখানে দলের জন্য অবদান রাখতে পারব এবং সেটাই ছেড়ে দেবো যেটায় মনে হবে যে আমার খুব বেশি কিছু দেয়ার নেই।’
Discussion about this post