খেলাধুলা ডেস্ক
জয়ের জন্য শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। সেখান থেকে এক উইকেট ও তিন ডটে প্রয়োজন এসে দাঁড়ায় ২ বলে ৩ রানে।
সেটি অবশ্য নিতে পেরেছে তারা। তাতে স্বাগতিকদের ৩ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান এগিয়ে গিয়েছে ১-০ ব্যবধানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপদের গন্ধ পাচ্ছিল সাউথ আফ্রিকা। কিন্তু সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার। দুজনের ১১৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে তারা।
ফিফটি তুলে নিয়ে মিলার ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ভ্যান ডুসেন। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত থাকেন ১২৩ রানে। তাতে সাউথ আফ্রিকা তোলে ২৭৩ রান।
জবাবে শুরুতেই ফখর জামানকে হারালেও অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম-উল-হকের ১৭৭ রানের জুটিতে সহজ জয়ের পথেই এগুচ্ছিল সফরকারীরা। বাবর তুলে নিয়েছিলেন নিজের শতক, ইমাম তার ফিফটি।
কিন্তু বাধ সাধেন আনরিখ নরকীয়া। এক স্পেলে বাবর ও ইমামসহ চার উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরান প্রোটিয়াদের।
সেই বিপদ কাটিয়ে অবশ্য পাকিস্তানকে আবারও জয়ের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাদাব খান। দুজনে মিলে জুটি গড়েন ৫৩ রানের। কিন্তু রিজওয়ান ফেরার পর ম্যাচ আবারও হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছিল পাকিস্তানের।
এরপর শেষ ওভারের নাটক, তাতে শেষ দুই বলে তিন রান তুলে নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন ফাহীম আশরাফ।
ম্যাচ চলকালে ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা বলেন, “সহজ ম্যাচকে কঠিন করে তুলতে আমরা দক্ষ। এ কারণেই পুরো বিশ্বে আমাদের নিয়ে এত উন্মাদনা। আমরা জানি কীভাবে একটি ম্যাচ জমিয়ে তুলতে হয়।”
ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতে নেন বাবর।
Discussion about this post